মানিকগঞ্জের সিংগাইরে শাশুড়িকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। গত রবিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে সিংগাইর পৌর এলাকার নয়াডাঙ্গী এলাকায় নিহতের নিজ বাড়ির শয়নকক্ষের সিন্দুকের ভিতর থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত হায়াতুন নেছা মাহামুদ কাজীর স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ছেলের বউ রুনা বেগম (২৫) ও তার মাকে (ছেলের শাশুড়ি) স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পৌর এলাকার নয়াডাঙ্গী গ্রামের প্রবাসী আবদুল খালেকের মা ও বউ দুজনে নিজ বাড়ির এক তলা বিল্ডিংয়ে বসবাস করত। মাঝেমধ্যে ছেলের বউ রুনা বেগম শাশুড়িকে না বলে বাইরে ঘুরতে যেত। এ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় দুজনের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে বউ শাশুড়িকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। পরে নিহতের লাশ তার শয়ন কক্ষে সিন্দুকের ভিতর আটকে রাখে। এদিকে বউ রবিবার সকালে বাড়ি থেকে উপজেলা ধল্লা এলাকায় নানির বাড়ি চলে যায়। কোনো সারাশব্দ না পেয়ে আত্মীয়স্বজন হায়াতুন নেছাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এদিকে সন্ধ্যার দিকে বউ তার মাকে নিয়ে বাড়িতে ফিরলে আত্মীয়স্বজনের জিজ্ঞাসার একপর্যায় সিন্দুকের ভিতর লাশ লুকানো আছে বলে রুনা বেগম স্বীকার করে। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছেলের বউ রুনা ও তার মাকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শাশুড়িকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।