সাকিব আল হাসানের পর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্ট খেলার আগে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন বাঁ হাতি স্পিন অলরাউন্ডার ও সাবেক অধিনায়ক সাকিব। তখন ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে খেলার জন্য টি-২০ সিরিজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মাহমুদুল্লাহ। সাকিবের অবসরের ঘোষণাতেই হয়তো মাহমুদুল্লাহ সিদ্ধান্ত নেন টি-২০ ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর। গতকাল দিল্লি অরুণ জেটলি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মিডিয়ার মুখোমুখিতে অবসরের ঘোষণা দেন মাহমুদুল্লাহ। ভারত সিরিজ শেষে তাকে আর দেখা যাবে না চিত্তাকর্ষক ২০ ওভারের ম্যাচে। জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘এই সিরিজের শেষ ম্যাচের পরেই আমি টি-২০ থেকে অবসর নেব। এ সফরে আসার আগেই আমি ঠিক করে রেখেছিলাম। আমি আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক এবং বোর্ড সভাপতিকেও সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। আমি মনে করি, এটাই সঠিক সময় এ সংস্করণ থেকে সরে ওয়ানডেতে মনোযোগ দেওয়ার। আমার জন্য এবং পরের টি-২০ বিশ্বকাপের কথা যদি ভাবি, দলের জন্যও এটাই সঠিক সময়।’ মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল্লাহকে বলা হয় ‘পঞ্চ পাণ্ডব’। মাশরাফি ঘরোয়া ক্রিকেট খেললেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অনেক আগেই। কানপুর টেস্টের সময় সাকিব ঘোষণা দিয়েছেন টি-২০ বিশ্বকাপে তিনি খেলেছেন শেষ টি-২০ ম্যাচ। ঘরের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে শেষ টেস্ট খেলতে চান। সাকিবের বিদায়ী টেস্ট নিয়ে শঙ্কা ছিল। অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আগ্রহী সাকিবের মাঠ থেকে বিদায়ের। তামিম অচিরেই ফিরবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। এখন বাংলাদেশ-ভারত সিরিজে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন। মুশফিক এখনো টেস্ট ও ওয়ানডে খেলছেন। মাহমুদুল্লাহর বয়স এখন ৩৮। কিছুদিন পর হবে ৩৯। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে ‘ধ্রুপদী’ ব্যাটার বলা হয় মাহমুদুল্লাহকে। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মুম্বাইয়ে চরম বিপর্যয়েও যে আকাশসমান দৃঢ়তায় সেঞ্চুরি করেছিলেন, সেটা নিঃসন্দেহে দেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ইনিংস। মাহমুুদুল্লাহ টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ান ২০২১ সালের জুলাইয়ে হারারে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের কথা বলেননি তখন। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে টি-২০ ক্রিকেট বিদায় বললেন। এ প্রথম বোধহয় কোনো অধিনায়ক মাঠ থেকে বিদায় নেবেন। টি-২০ ক্রিকেটে তার পারফরম্যান্স চোখ ধাঁধানো। দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৪৩ ম্যাচে। ২০ ওভারের বিশ্বকাপে অভিষেক ২০০৭ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে। ১৩৯ টি-২০ ম্যাচে ১১৭.৭৪ স্ট্রাইকরেটে রান করেছেন ২৩৯৫।