ধূপ-ধুনুচি, পঞ্চপ্রদীপ, উলুধ্বনি আর ঢাকের তালে সায়ংকালে আসনে অধিষ্ঠিত হবেন দেবী দুর্গা। বোধনের ঘট স্থাপনের মধ্য দিয়ে গতকাল শুরু হয়েছে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। আজ মহাষষ্ঠী। ১৩ অক্টোবর বিজয়াদশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। গতকাল ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ জানায়, দেশের ৩১ হাজার ৪৬১ মণ্ডপে এবার পূজা হবে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ৪০৮। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা বলেন, ‘প্রস্তুতি নিতে অপারগ হওয়ায় ও বন্যার কারণে দুর্গত এলাকার কোথাও কোথাও এবার পূজার আয়োজন করা যায়নি।’ তবে ঢাকা মহানগরীতে এবার ২৫২টি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, গত বছর হয়েছিল ২৪৮টিতে। সে হিসেবে মহানগরীতে পূজামন্ডপ চারটি বেড়েছে। পঞ্জিকা অনুযায়ী, ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী, ১০ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ১১ অক্টোবর মহাষ্টমী। এবার মহানবমী পূজার পরই দশমী বিহিত পূজা হবে। ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমী উদ্যাপন হবে এবং ওইদিন বিকালে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য বিজয়ার শোভাযাত্রা বের করা হবে বলে সভায় জানানো হয়। এবার দেবীর আগমন ঘটবে ‘দোলায়’। শাস্ত্রমতে, দোলায় আগমনের অর্থ পৃথিবীতে মড়ক দেখা দিতে পারে। রোগ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা হানাহানিতে প্রাণহানি ঘটতে পারে। দেবী গমন করবেন ঘোটকে অর্থাৎ ঘোড়ায়। এর ফলে সামাজিক বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। এদিকে আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, ঢাকেশ্বরী মন্দির ঘুরে দেখা গেছে চারপাশে পূজোর আমেজ। দর্শনার্থীরা সেজেগুজে ছবি তুলছেন। মন্দির এলাকা কঠোর নিরাপত্তায় ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মন্দিরে নিরাপত্তা দিতে একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ আনসার বাহিনীর সদস্যরা। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের নিরাপত্তার বিষয়ে লালবাগ বিভাগের এডিসি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে ভালো আছে এখনো। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা কিংবা শঙ্কা নেই। পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ যৌথ বাহিনী মাঠে তৎপর রয়েছে।’