শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০০ টা

ড. ইউনূসকে আরএসএফের অভিনন্দন

নিজস্ব প্রতিবেদক

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি দিয়েছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ)। চিঠিতে তারা বলেছে, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সংগঠন বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ব্যাপক লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়ে আসছে। আমরা আশা করি, বছরের পর বছর সরকারি দমনপীড়নের পর আপনার ঐক্যের আকাক্সক্ষা বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম সূচকে বাংলাদেশের বড় ধরনের পতন আটকাতে সাহায্য করবে, যেখানে দেশটি বর্তমানে ১৮০-এর মধ্যে ১৬৫তম স্থানে রয়েছে। মঙ্গলবার আরএসএফের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে এ চিঠি পাঠান সংগঠনের পরিচালক অ্যান্টোইন বার্নার্ড ও মহাপরিচালক থিবাউট ব্রুটিন। চিঠিতে সংগঠনটি জানায়, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের প্রতি আপনার অবিসংবাদিত অঙ্গীকারের কথা মাথায় রেখে আমরা বিশ্বাস করি, আপনার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং তথ্যের অধিকার নিশ্চিতে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা সাদরে মেনে নেবে। চিঠিতে আরও বলা হয়, সাংবাদিকরা সেই ‘বাংলাদেশ পরিবারের অংশ, দায়িত্ব নেওয়ার পর আপনি যে দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তারা দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতেও সাহায্য করতে পারে। কারণ নতুন সরকার তাদের বিরুদ্ধে আইনের অপব্যবহার বন্ধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চিঠিতে সাইবার নিরাপত্তা আইন, আইসিটি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের আহ্বান জানায় আরএসএফ। বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের নাম টেনে সংগঠনটি প্রধান উপদেষ্টাকে দেওয়া চিঠিতে লিখেছে, আপনার পূর্বসূরি (সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সাংবাদিকদের হয়রানি এবং আটক করতে এসব আইনকে টুল হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, পাথরঘাটা নিউজের বশির আকন, সম্প্রতি যার তিন বছরের দ  হয়েছে। এসব আইনের আওতায় অন্যায়ভাবে আরও সাতজন বিচারাধীন রয়েছেন। তারা হলেন শহীদুল আলম, হেনরী স্বপন, শফিকুল ইসলাম কাজল, সুশান্ত দাশগুপ্ত, শামসুজ্জামান শামস, মতিউর রহমান ও অধরা ইয়াসমিন। সংগঠনটি বলেছে, আপনি অবিলম্বে পদক্ষেপ নিয়ে আপনার পূর্বসূরির সময়ে এ আটজনের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা বাতিল করতে পারেন। আগের সরকারের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে এবং হত্যায় জড়িত থাকার ভিত্তিহীন অভিযোগে বিচারাধীন পাঁচ সাংবাদিককে বাংলাদেশের সংবিধানের নিশ্চয়তা অনুযায়ী সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার জন্যও ড. ইউনূসকে অনুরোধ জানায় আরএসএফ। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয় যে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আন্দোলনের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে পাঁচ সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। ২ শতাধিক সাংবাদিক আহত হন। সাংবাদিকসমাজ এখনো সেই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি। সংগঠনটি এসব মৃত্যুর স্বাধীন তদন্ত দাবি করার পাশাপাশি নিহতদের পরিবার এবং আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

 

 

 

সর্বশেষ খবর