তীব্র যানজটে গতকাল স্থবির হয়ে পড়েছিল রাজধানী ঢাকা। ঢাকা কলেজ এবং সিটি কলেজ ছাত্রদের মারামারির কারণে মিরপুর রোড, সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট এলাকা স্থবির হয়ে যায়। এদিকে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নতুনবাজার এলাকায় ময়লা ফেলে সড়ক অবরোধ করে। তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় কুড়িল, বাড্ডা, রামপুরা রোডে। ঢাকার দুই সিটির দুই ঘটনায় পুরো ঢাকাই যেন স্থবির হয়ে পড়ে। গুলশান, বানানী, উত্তরার মতো অভিজাত এলাকাতেও ছিল ভয়াবহ যানজট। আসাদগেট, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, বিজয় সরণি, তেজগাঁও, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগে যানজটে যানবাহন আটকে থাকতে দেখা গেছে। অনেকে বিরক্ত হয়ে হাঁটতে শুরু করেন। রামপুরা থেকে উত্তরা মেডিকেলে যাওয়ার পথে যানজটে পড়েন নার্স আসমা আক্তার। তিনি বলেন, রামপুরা থেকে নতুন বাজার, পাঁচ মিনিটের রাস্তা আসতেই দুই ঘণ্টা লাগল। কখন যে উত্তরায় পৌঁছাব জানি না। অভিশাপের মতো লাগছে। এভাবে চলতে থাকলে কীভাবে হবে? শুনলাম পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা রাস্তায় ময়লা ফেলে প্রতিবাদ করছে। যে যার মতো প্রতিবাদ শুরু করলে আমরা সাধারণ মানুষরা কোথায় যাব? কার কাছে বিচার চাইব? স্কুল ছুটির পর বাচ্চা নিয়ে গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বর থেকে কুড়িলের উদ্দেশে রওনা দেন স্বাগতা ইয়াসমিন। জ্যামে আটকে পড়ে বিরক্তি নিয়ে প্রতিবেদককে বলেন, ১০ মিনিটের রাস্তায় আটকে আছি ৫০ মিনিট। জানি না কখন পৌঁছাব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের ছাত্রী হাফসা ইসলাম বলেন, এভাবে দুই দিন পর পর কলেজের ছাত্ররা মারামারিতে জড়ালে জনগণের ভোগান্তি হয়। এই দুই কলেজের কর্তৃপক্ষের উচিত এ বিষয়ে স্থায়ী সমাধানে আসা। এভাবে জনগণের ভোগান্তি চলতে দেওয়া যায় না।
নিউমার্কেটে বাজার করতে আসা তুহিন আরা বলেন, বাজার করতে এসে বিপদে পড়েছি। এখানে আটকে গেছি। সবাই আতঙ্কগ্রস্ত। মাসে কয়েকবার এমন বিনা কারণে যানজটে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। সরকারের উচিত এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।