ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্র-শিক্ষকদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন চান অধিকাংশ শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে এক জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী বর্তমান প্রেক্ষাপটে ডাকসু নির্বাচন প্রয়োজনীয় মনে করেন।
নির্বাচন সফলভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত ‘পরামর্শক কমিটির’ করা এক জরিপে এসব মতামত দেন শিক্ষার্থীরা। ৬ এপ্রিল পরামর্শক কমিটির কাছে জমা দেওয়া জরিপের ফলাফলের কপি বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে ২৩ মার্চ ডাকসু নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল এই জরিপ কার্যক্রম শুরু করে। এতে ১ হাজার ৭৪৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। শিক্ষার্থীরা তাঁদের ইনস্টিটিউশনাল ইমেইল ব্যবহার করে জরিপ সম্পন্ন করেন।
ডাকসু নির্বাচন পরিচালনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য ছাত্র-শিক্ষক যৌথভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন সবচেয়ে কার্যকর প্রক্রিয়া বলে মনে করেন জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী। প্রায় ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
প্রায় ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন আগামী তিন মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন হলে এটি সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী ডাকসু নির্বাচন প্রয়োজনীয় মনে করলেও মাত্র ২ শতাংশের কিছু বেশি শিক্ষার্থী ডাকসু নির্বাচন অপ্রয়োজনীয় মনে করেন।
জরিপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের প্রায় অর্ধেক মনে করেন, একাডেমিক ভবনগুলোতে নির্বাচন হলে তা অধিক সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে সংশ্লিষ্ট হল বা একাডেমিক ভবন।
প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আগামী তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন চান জরিপে অংশ নেওয়া অধিকাংশ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে প্রায় ৫২ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তবে দ্বিতীয় শীর্ষ পছন্দের তালিকায় শিক্ষার্থীরা মনে করছেন ভোট গ্রহণ ও গণনার সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশন করা গেলে নির্বাচন অধিক শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হবে।
পরামর্শক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, ‘পরামর্শক কমিটির এই জরিপের ফলাফলগুলো আমার কাছে বেশ মজাদার মনে হয়েছে। এর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আমরা নির্বাচন কমিশনসহ নির্বাচন বাস্তবায়নের সঙ্গে যারা যুক্ত থাকবেন সবার কাছে দেব। তাদের এগুলো পর্যালোচনা করার পরামর্শ দেব। আলোচনার ভিত্তিতে যে পরামর্শগুলো বাস্তবায়নযোগ্য সেগুলো তারা বাস্তবায়ন করবেন।’