মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বড় একটি অংশ জুড়ে রয়েছে সারাদেশে শিরা-উপশিরার মতো প্রবাহিত শত শত নদী। এই নদীতেই সলীল সমাধি হয়েছে অসংখ্য পাক হানাদারের। দখলদারদের বিরুদ্ধে বাঘের মতো গর্জে উঠেছিল সুন্দরবনের নদীগুলোও। নৌকমাণ্ডোদের শ্বাসরুদ্ধকর দুঃসাহসি অভিযানে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে পাক হানাদারদের অস্ত্র ও সৈন্যবাহী নৌযান।
এসব নানা ঘটনা উঠে এসেছে লেখক, গবেষক ও সম্পাদক ফয়সাল আহমেদের ‘মুক্তিযুদ্ধে নদী’ বইটিতে। সম্প্রতি বইটি প্রকাশ করেছে নদী বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি)। প্রচ্ছদ করেছেন চিত্রকর মোস্তাফিজ কারিগর।
বইটিতে রয়েছে-মুক্তিযুদ্ধে নদী, বাঘের মতো গর্জে উঠেছিল সুন্দরবনের নদী, বিদ্রোহী পদ্মা মেঘনা যমুনা, গানবোট পদ্ম ও পলাশ, মুক্তিযুদ্ধে নদীযাত্রা : শ্বাসরুদ্ধকর একুশ দিন, মুক্তিযুদ্ধের গানে নদী, কীর্তনখোলায় নৌ-যুদ্ধ ও আতহার উদ্দিন তালুকদার, অপারেশন জ্যাকপট ও হুমায়ুন কবীর, সংবাদপত্রে নৌ-যুদ্ধের খবর শিরোনামে বিস্তারিত লেখা। রয়েছে নৌ-কমান্ডো প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান ও নদী গবেষক মোহাম্মদ এজাজের সাক্ষাৎকার।
লেখক ফয়সাল আহমেদ বলেন, এই বইয়ের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে নদীর ভূমিকা-অবদান সন্ধান করা হয়েছে। নয় মাসের যুদ্ধে নদী কীভাবে মুক্তিকামী বাংলার দামাল ছেলেদের জন্য সহায়কশক্তি হয়ে উঠেছিল, সমরবিদদের পরিকল্পনায় নদী কতটা প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ ছিল তা জানা-বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও এত অল্প পরিসরে বিষদ উপস্থাপন খুবই কঠিন। এটি একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র। বইটি পাঠকপ্রিয় হলে আমার প্রচেষ্টা-পরিশ্রম সার্থক হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন/শামীম