৫ নভেম্বর, ২০২২ ১৫:০২

স্থানীয়ভিত্তিক অভিযোজনের অগ্রাধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরবে ‘ফ্রেন্ডশিপ’

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

স্থানীয়ভিত্তিক অভিযোজনের অগ্রাধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরবে ‘ফ্রেন্ডশিপ’

বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশে জলবায়ুর প্রভাবের কারণে চলমান ক্ষতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে কমাতে বা পুষিয়ে নিতে স্থানীয়ভিত্তিক অভিযোজনের (লোকালি লেড অ্যাডাপ্টেশন) কোনো বিকল্প নেই। মিশরে অনুষ্ঠিতব্য জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৭) অংশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ এবং অভিযোজন উন্নয়নে অন্তত সময়ভাবে অর্থায়ন ও সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতার দাবির সঙ্গে একাত্ম হয়ে বাংলাদেশের জন্য স্থানীয়ভিত্তিক অভিযোজনের অগ্রাধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরবে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ‘ফ্রেন্ডশিপ’। সংস্থাটি এই প্রেক্ষাপটে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, লোকালি লেড অ্যাডাপ্টেশন/ইউএনসিডিএফ, ইউএনএফসিসি’র প্যাভিলিয়নে অন্তত ৯টি কর্মসূচির আয়োজন করবে।

এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ‘সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে মূল বার্তা উপস্থাপন’; ‘ব্লু ম্যানগ্রোভ ফান্ড : বাংলাদেশে ম্যানগ্রোভ বন পুনরুদ্ধার, জলবায়ু বিপর্যয়ের স্থিতিস্থাপকতা এবং কার্বন সংরক্ষণের জন্য প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান’; ‘দেশীয় বা স্থানীয় জ্ঞান’; ‘বাংলাদেশে অভিযোজন এবং প্রশমনের সমন্বিত পদ্ধতির অভিজ্ঞতা’; ‘জলবায়ু আইন ও গভর্নেন্স : উন্নয়ন দৃষ্টান্তের মধ্যে ক্ষতি এবং ক্ষয়ক্ষতির দায় এবং ক্ষতিপূরণের সমাধান করা (ম্যারাকেচ সেমিনার)’; ‘জলবায়ু ন্যায়বিচার এবং স্থিতিস্থাপকতার জন্য আইনি উপকরণ এবং ক্ষমতা শক্তিশালী করা’; ‘লবণাক্ততার বিরুদ্ধে প্রচেষ্টা : যেভাবে খাবার পানি এবং ম্যানগ্রোভ পুনরুদ্ধারের জন্য স্থানীয়ভাবে পরিচালিত পদক্ষেপগুলো স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করছে’; ‘সকল জলবায়ু কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে মানবাধিকারকে রাখা’ এবং সমন্বিত অভিযোজন কর্মসূচি সাফল্য।

কপ-২৭ এ ডেলিগেশনের নেতৃত্ব দেবেন ফ্রেন্ডশিপ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক রুনা খান এবং ফ্রেন্ডশিপ আন্তর্জাতিক চ্যাপ্টরসমূহের প্রতিনিধিরা।

ফ্রেন্ডশিপ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক রুনা খান বলেন, বাংলাদেশসহ যেসব দেশ কার্বন নিঃসরণে সর্বনিম্ন মাত্রায় রয়েছে, সেসব দেশই ভোগান্তির শীর্ষে রয়েছে। এই বাস্তবতাকে বিবেচনায় নিলে অভিযোজন উন্নয়নে আরও সক্রিয়তা ও সম্পদের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি কমানো এবং চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা সম্ভব। স্থানীয় জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, কৌশলভিত্তিক অভিযোজন সাফল্যগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার ও দাতাসংস্থাগুলোর সহজতর অর্থায়ন, প্রযুক্তি ও পৃষ্ঠপোষকতার ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার দাবিই হবে এবারের কপ-২৭ এ আমাদের মূল প্রেরণা।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

সর্বশেষ খবর