জাতীয় পার্টির রাজনীতি করলেও অন্য দলের নেতাদের সঙ্গেও আলমগীর হোসেনের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় ছিল। ছাত্র জীবনে প্রগতিশীল সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন করেছেন। পরে সৈয়দ নজরুল ইসলামের ডাকে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এরশাদের শাসনামলে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। সংসদ সদস্য থাকাকালে সর্বদা এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। এজন্যেই বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তাকে এখনও শ্রদ্ধার সঙ্গেই স্মরণ করে। আলমগীর হোসেনের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার কারণেই বইটিতে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, চারজন সংসদ সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। “জননেতা আলমগীর হোসেন” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও পাঠ প্রতিক্রিয়া অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথাগুলো বলেছেন।
আজ শনিবার দুপুরে মরহুম আলমগীর হোসেন সিটি কমপ্লেক্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু ও কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি।
অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব মো. আকবর হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে বইয়ের পাঠ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন দৃশ্যপট '৭১ এর সভাপতি এডভোকেট নাসির উদ্দিন ফারুকী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. দীন মোহাম্মদ ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমেদ সাদী। এর আগে বইটির সম্পাদক মুক্তিযুদ্ধের গবেষক জাহাঙ্গীর আলম জাহান এবং আলমগীর হোসেনের জ্যেষ্ঠ পুত্র সলিউসন নেস্ট বিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল আলম শিপলু স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা শেষে মাওলানা হাসিম উদ্দিন খন্দকারের পরিচালনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মরহুম আলমগীর হোসেনের সহধর্মিনী সলিউসন নেস্ট বিডির চেয়ারম্যান রাবেয়া খানম উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ