১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১২:৪২

কোন বনে পালিয়ে যাই

অনলাইন ডেস্ক

কোন বনে পালিয়ে যাই

কবিতায় সমাজ বাস্তবতার সুনিপুণ চিত্র তুলে ধরা বলতে যা বোঝায় মোস্তফা মাসুম তৌফিকের লিখা "কোন বনে পালিয়ে যাই" এমনই একটা কবিতার বই। 

করোনা কালের অবসানে মানুষ যখন নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চায়, ঠিক সেই সময়েই একের পর এক আঘাত এসে প্রান্তিক জনতার জীবনযাত্রাকে দূর্বিষহ করে তোলে। ইউরোপে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। সারা বছর জুড়েই ছিল দ্রব্যমূল্য নাগালের সীমানা অতিক্রমের করুণ নির্মম চিত্র। জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে, করোনাকালের নব্য বেকারত্বের অভিশাপ জর্জরিত, দিনমজুর, স্বল্প আয়ের মানুষ, কৃষক, শ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তথা প্রান্তিক জনগণের জন্য পুরো বছর ছিল বিরূপ সময় কিংবা প্রদোষকাল। এই প্রদোষকালকেই কবিতার তীক্ষ্ণ কথামালা, নির্ভুল ছন্দে পাঠককুলের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। 

কবিতার কথামালায় জোরালো আঘাত করা হয়েছে সিন্ডিকেটের কলকাঠি নাড়ানো তথা অবৈধ মজুতদার, গুদামজাতকারী, সুদখোর মহাজন, তথা শোষক শ্রেণিকে। আয়ব্যয়ের ক্রমবর্ধমান বৈষম্যকে স্পষ্ট করে তুলে ধরতে প্রচলিত সবগুলো ছন্দে কবিতার কথায়, ভাষায়, শব্দ চয়নের আশ্রয়ে শেষ পর্যন্ত আশার বাণী শোনানো হয়েছে। অধিকাংশ কবিতায় এই বৈষম্যের তীব্র প্রতিবাদ করে এর থেকে উত্তরণের পথ খোঁজা হয়েছে। 

এই প্রতিবাদী কবিতাগুলোর পাশাপাশি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, বাজেট, ভয়াবহ যানজট, লোডশেডিং, সিত্রাং,  বাংলাদেশের প্রকৃতি ও তার প্রতি ভালোবাসা, মা-বাবার প্রতি ভালোবাসা, কবিতার কথা, শারদীয় উৎসবের মহালয়া ট্রাজেডি যেমন উঠে এসেছে, তেমনি মার্কিন মুলুকে বৈধ অস্ত্রে নির্মম হত্যাকাণ্ড, ফুটবল ক্রিকেট নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের আবেগ, কিশোর হকার ছেলের স্বপ্ন, কুরবানির গোশত কুড়ানো ছেলের অনুভূতি কিংবা মহাসত্য ঘোষণার মহা ক্ষণও উঠে এসেছে। মানব-মানবীর নিখাদ প্রেমের কবিতাও রয়েছে একটা, বোধ হয় বইটিতে বিষয়বস্তুর পরিপূর্ণতার জন্য। 
 
মোস্তফা মাসুম তৌফিকের তৃতীয় কবিতার বই "কোন বনে পালিয়ে যাই" এবারে প্রকাশিত হয়েছে দেশ পাবলিকেশন্স (স্টল: ৪১৭, ৪১৮ ও ৪১৯) থেকে। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

সর্বশেষ খবর