ঘন কালো ও মসৃণ চুল কে না পছন্দ করেন? আর তা পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই চুলের যত্ন নিতে হবে। এজন্য সঠিকভাবে চুলের যত্ন নেওয়ার পদ্ধতিও জানা জরুরি। হেল্থ ও লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট ভোগ-এর এক প্রতিবেদনে চুলের যত্নে সপ্তাহে কতবার চুল ধোয়া উচিত তা জানানো হয়েছে। সপ্তাহে এক দিন চুল ধোয়া কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে না। এমনকি যদি মনে করেন চুল পরিষ্কার আছে, তবুও না। অর্থাৎ যে কারও সপ্তাহে অন্তত দুইবার চুল ধোয়া বা চুলে শ্যাম্পু করা উচিত। রইল বিস্তারিত-
স্ট্রেট চুল : চুল যদি স্ট্রেট হয় তাহলে সপ্তাহে তিন দিন চুল ধুতে পারেন। এ ধরনের চুলে খুব বেশি কন্ডিশনারের প্রয়োজন হয় না। শ্যাম্পু করার পর সিরাম ব্যবহার করতে পারেন।
কোঁকড়া চুল : কোঁকড়া চুল একটু ড্রাই হয়। তাই বারবার কোঁকড়া চুল ধুলে চুলের ক্ষতি হয়। কোঁকড়া চুল সপ্তাহে দুবার ধোয়া উচিত। কোঁকড়া চুলে কন্ডিশনার একটু বেশি প্রয়োজন হয়। সিরামও প্রয়োজন হয়।ঢেউ খেলানো চুল : এমন অনেকে আছেন, যাদের কোঁকড়াও হয় না আবার সোজাও হয় না। যাদের চুল ওয়েভি, তাদের সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ধোয়া উচিত। এ ধরনের চুলের জন্য এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত, যাতে চুল খুব বেশি শুষ্ক বা খুব বেশি তৈলাক্ত না হয়। এ ছাড়া শ্যাম্পুর আগে চুলে কন্ডিশনার লাগিয়ে চুল ধুতে পারেন।
ফ্রিজি চুল : ফ্রিজি চুল সপ্তাহে অন্তত দুবার ধোয়া উচিত। যদি চুল খুব নোংরা হয় তবে তিনবার ধুতে পারেন। ফ্রিজি চুল খুব বেশি ধোয়া উচিত নয়, কারণ এতে চুল ড্রাই হয়ে যায়, পাশাপাশি চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ধরনের চুলে ময়েশ্চারাইজিং কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত।
স্ক্যাল্পের ধরনের দিকে খেয়াল রাখুন-
কেউ কেউ প্রতিদিন শ্যাম্পু করেন। তবে এই নিয়ম সবার জন্য নয়। কখনো কখনো এটি মাথার ত্বকে চুলকানি বা শুষ্কতার সমস্যা সৃষ্টি করে। এ কারণে চুল মাঝখান থেকে ভেঙে যেতে থাকে এবং পরে শুষ্কও হয়ে দেয়। অতএব, আপনার মাথার ত্বকের ধরন মাথায় রেখে আপনি কত ঘন ঘন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোয়া উচিত তা নির্ধারণ করুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যদি প্রতিদিন বাইরে যান বা ধুলো-মাটির সংস্পর্শে আসেন, তাহলে প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করা যেতে পারে।
ব্যায়ামের কারণে যদি প্রতিনিয়ত ঘামেন, তবে প্রতিদিন আপনার শ্যাম্পু করা উচিত। আসলে ঘামের কারণে, মাথার ত্বক খুব চিটচিটে হয়ে যায় এবং এতে সহজেই ময়লা লেগে যায়। যার কারণে চুলকানি শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন শ্যাম্পু করা উচিত।
লিখেছেন : তাহমিনা আক্তার
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ