ত্বক ভাঙছে নাকি পুনর্গঠিত হচ্ছে কীভাবে বুঝবেন? এমন প্রশ্ন থাকে অনেকের। কারণ আমরা সবাই জানি, নিত্য নতুন প্রসাধনী ব্যবহারে ত্বকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। আর এটি কি ত্বক ভাঙা বা পুনর্গঠনের লক্ষণ? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা! কসমোলজিস্টদের মতে, ত্বক ভাঙা বা ‘ব্রেকআউটস’ ও ‘পার্জিং’ বা পুনর্গঠনের লক্ষণগুলো প্রায় এক। তবে পার্থক্যও রয়েছে। সেসব বিষয় নিয়েই এই ফিচার-
‘পার্জিং’ বাংলায় এর শাব্দিক অর্থ পুনর্গঠন। ত্বকের পুনর্গঠন খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। নতুন কোনো পণ্য মুখে ব্যবহার করা হলে যেমন- রেটিনল বা অ্যাসিড সমৃদ্ধ প্রসাধনী, ত্বকের ওপরের স্তর উঠে গিয়ে নতুনভাবে গজাতে থাকে। তাতে খানিকটা প্রদাহ দেখা দেয়। নিউইয়র্কের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ কারেন ক্যাম্পবেল বলেন, যখন ব্রণ নিরাময়ের জন্য ‘অ্যাকটিভ’ উপাদান যেমন রেটিনল ব্যবহার করা হয় তখন ব্রণ ভালো না হয়ে আরও বাজে অবস্থায় যায়। এটা আসলে রেটিনলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। অর্থাৎ উপাদানটি ঠিক মতো কাজ করছে। মানে ব্রণ তৈরির জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার পাশাপাশি ত্বক পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার চক্র একই সময়ে চলছে।
অন্যদিকে ‘ব্রেকআউটস’ অর্থাৎ ত্বক ভাঙা নানা রকম হতে পারে। যেমন- মুখের ত্বকে ব্যথাযুক্ত ফোড়ার মতো ফুলে ওঠা, ‘হোয়াইট হেডস’, ‘ব্ল্যাক হেডস’ ইত্যাদি। নিউইয়র্কের আরেক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জাইখনার বলেন, ব্রণের ব্যথা সাধারণত লোমকূপ ঘিরেই হয়। এককভাবে একেকটি ব্রণ প্রচুর পরিমাণে তেল উৎপাদন করে। যা আঠালো ত্বকের নিচেই আটকে থাকে। ফলে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। হরমোন, মানসিক চাপ, খাদ্যাভ্যাস থেকে ব্রণ হয়। এর মাত্রা বৃদ্ধি পায় যখন লোমকূপ আটকে গিয়ে ব্যাকটেরিয়া গজাতে থাকে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ