গ্রীষ্মের আগমনের আগে থেকেই গরম পড়া শুরু হয়েছে। গ্রীষ্ম আসার পর থেকে সেই মাত্রা যেন আরো বেড়েছে। এই গরমে ঠাণ্ডা থাকতে এবং নিজের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অনেকে অনেক ধরনের পানীয় পান করে থাকেন। তেমন দুটি পানীয় হচ্ছে লেবুর শরবত ও শসা ভেজানো পানি।
এই গরমে পাতিলেবুর রস দিয়ে তৈরি শরবত নাকি শসা ভিজিয়ে রাখা পানি- স্বাস্থ্যের জন্য কোনটা বেশি উপকারী, তা জানাতে এই প্রতিবেদন। তবে বলে রাখা ভালো- এই দুই পানীয়েরই আলাদা আলাদা ভাবে অনেক গুণ রয়েছে। বিশেষ করে গরমকালে দুটোই খেতে পারেন আপনি। উপকার পাবেন নিঃসন্দেহে।
পাতিলেবুর শরবত
শুধু গরমকাল নয়, সারা বছরই পাতিলেবুর রস মেশানো পানি খেলে বা পাতিলেবুর রস দেওয়া শরবত খেলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে যদি হালকা গরম পারিতে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে দূর হবে এসিডিটির সমস্যা।
এছাড়া ফ্যাট ঝরাতে এই পানীয় ওষুধের মতো কাজ করে। এর পাশাপাশি শরীরে জমে থাকা যাবতীয় দূষিত পদার্থ বা টক্সিন বের করে বডি ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে পাতিলেবুর রস মেশানো হাল্কা গরম পানি।
অল্প চিনি, সামান্য লবণ আর পাতিলেবুর রস দিয়ে বাড়িতে সহজেই বানিয়ে নিন শরবত। এই পানীয় আপনার শরীর হাইড্রেটেড রাখবে গরমের মৌসুমে। এ ছাড়া শরীর ঠাণ্ডা রাখবে, অর্থাৎ দৈহিক তাপমাত্রা সঠিক পর্যায়ে বজায় থাকবে। লেবুর শরবত খেলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো মজবুত হবে।
লেবুতে থাকা ভিটামিন ‘সি’-এর ফলে সহজে অসুস্থ হয়ে যাবেন না আপনি। রোগ, সংক্রমণ থেকে সব সময় দূরে থাকবেন। আর বিভিন্ন ধরনের সিরাপ মিশিয়ে শরবত বানিয়ে গরমের দিনে খাওয়ার থেকে পাতিলেবুর শরবত খাওয়া সার্বিকভাবে শরীর-স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো।
শসা ভিজিয়ে রাখা পানি
এমনিতে গরমকালে শসা খাওয়া ভালো। কারণ ফল আমাদের শরীরে পানির মাত্রা সঠিক পরিমাণে বজায় রাখে। এ ছাড়া শসা খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে। এর পাশাপাশি শসা খেলে দ্রুতগতিতে কমবে আপনার ওজনও। আর পানির মধ্যে শসা টুকরো করে কেটে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করলে তা দারুণভাবে বডি ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে।
শরীরে জমে থাকা যাবতীয় টক্সিন দূর করে, শরীরকে ভেতর থেকে পরিশুদ্ধ করে। একটা কাচের বোতলে ঠাণ্ডা (রুম টেম্পারেচার) পানি নিয়ে তার মধ্যে কয়েক টুকরো শসা ও অল্প কয়েকটা পুদিনা পাতা দিয়ে রেখে দিন। এই পানীয় একটি দারুণ ডিটক্স ড্রিংক। গরমকালে সবারই অবশ্যই এই পানীয় পান করা উচিত।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ