৯ আগস্ট, ২০২১ ২১:৫৪

নদীভাঙন রক্ষা কাজে কোনো অনিয়ম হলে ব্যবস্থা : পানি সম্পদ উপমন্ত্রী

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

নদীভাঙন রক্ষা কাজে কোনো অনিয়ম হলে ব্যবস্থা : পানি সম্পদ উপমন্ত্রী

ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামিম।

নদীভাঙন রক্ষা কাজে কোনো অনিয়ম হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামিম। সোমবার বিকেলে রাজবাড়ী সদর উপজেলার পদ্মা নদীর গোদার বাজার এলাকায় ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে একথা বলেন তিনি।

উপমন্ত্রী বলেন, রাজবাড়ীতে নদীভাঙন রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী ৪৭৬ কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছিলেন। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে এমন ভাঙন হওয়ার কথা নয়। কাজের গুণগত মান নিয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ করার সুযোগ নেই। সেখানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হোক অথবা আমাদের কর্মকর্তারাই হোক। যদি কোনো গাফিলতি কিংবা দুর্নীতি করে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসময় পদ্মা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।

এনামুল হক শামিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের কর্মীর মতো কাজ করতে বলেছেন। সেই জায়গা থেকে করোনার মধ্যে রাজবাড়ীতে ছুটে আসা। রাজবাড়ীকে রক্ষার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হবে।

এসময় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সালমা চৌধুরী রুমা, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. ফজলুর রশিদ, জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম, পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হেকিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল আহাদ, পৌরসভার মেয়র আলমগীর শেখ তিতুসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, পদ্মা নদীর তীর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের আওতায় গোদার বাজার এলাকায় ড্রেজিং করে কংক্রিট দিয়ে সিসি ব্লক দ্বারা সাড়ে ৪ কিলোমিটার এলাকায় পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ করা হয়। এ বছরের ৩১ মে কাজ শেষ হয়।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর