৬ মে, ২০২৩ ১৮:৩১

‘কার্যকর পদক্ষেপের কারণেই সারাদেশে নদীভাঙন কমে এসেছে’

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

‘কার্যকর পদক্ষেপের কারণেই সারাদেশে নদীভাঙন কমে এসেছে’

কথা বলছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, ‘সারাদেশের নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কাজ করছে সরকার। আর সরকারের পদক্ষেপের কারণেই সারাদেশে নদীভাঙন কমে এসেছে। কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার কারণেই গত ১৩ বছরে সারাদেশে নদী ভাঙনের পরিমাণ সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর থেকে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টরে নেমেছে। পদ্মা সেতুর জিরো পয়েন্ট থেকে জাজিরার বিলামপুর পর্যন্ত ১১শ’ ৭৩ কোটি টাকার প্রকল্পও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ৮.৬৭ কিলোমিটার এ প্রকল্প টি জুলাই ২০২৩ থেকে কাজ শুরু হয়ে জুন ২০২৬ এ সম্পন্ন হবে, ইনশাআল্লাহ।’

আজ শনিবার দুপুরে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পদ্মা নদীর ডান তীরের ভাঙন হতে মাঝিরঘাট জিরো পয়েন্ট এলাকা রক্ষা প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পশ্চিমাঞ্চল) রমজান আলী প্রামনিক, পরিকল্পনা কমিশনের যুগ্ম সচিব শারমিনা নাসরিন, উপসচিব শামসুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী সচিব ইসরাত জাহান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ফরিদপুর অঞ্চল) শাহজাহান সিরাজ, জাজিরা উপজেলা চেয়ারম্যান মোবারক আলী সিকদার, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ কমিটির সদস্য জহির সিকদার, পানি উন্নয়ন বোর্ড শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব প্রমুখ। এছাড়া খুলনা শিপিয়ার্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু হয়েছে। আর এ সেতু হওয়ায় শরীয়তপুরের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। ৪ বছর আগেও নড়িয়ায় নদীভাঙন ছিল। হাজার হাজার মানুষ ভিটেমাটি হারা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে এখন আর নড়িয়ায় নদী ভাঙন নেই। ভাঙনকবলিত নড়িয়া এখন পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।’ 

এনামুল হক শামীম বলেন, ‘নড়িয়া থেকে শুরু করে জেলা সদর হয়ে মাদারীপুর জেলার কালকিনি পর্যন্ত কীর্তিনাশা নদীর দুই পাড় রক্ষা প্রকল্প এগিয়ে চলছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতার অনেকাংশেই কমে আসবে। কাজ যেন গুনগত মান ঠিক রেখে হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কাজের ব্যাপারে কোনো প্রকার গাফিলতি, অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন, সেজন্য তিনি আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের সুবিধা সংবলিত বাংলাদেশ গড়তে চান। এজন্য তিনি দূরদর্শী পদক্ষেপ নেন। সেজন্য তিনি ডেল্টাপ্লান-২১০০ বাস্তবায়নেরও ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই মহাপরিকল্পনার সিংহভাগ কাজই পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে সারাদেশে নদী ভাঙন ও জলাবদ্ধতার কোনো সমস্যাই থাকবে না। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।’

উপমন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশে স্থায়ী প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ অনেকাংশে জলাবদ্ধতা ও নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে। আর এর সুফল কয়েক বছরের মধ্যে মিলবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ভাঙন রোধে স্থায়ী প্রকল্প করা হচ্ছে। উপকূল অঞ্চলে প্রতিটি বাঁধ প্রশস্ত ও উঁচু করা হচ্ছে, বনায়ন করা হচ্ছে। আর এসব স্থায়ী প্রকল্পে নদী খনন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে এবং তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জনবলও বাড়ানো হয়েছে।’

পরে নড়িয়ায় পানি ভবনে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পওর (পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপমন্ত্রী।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর