২৯ আগস্ট, ২০২৩ ১৬:০৫

বিএনপি অতীতে কিছু দিতে পারেনি, আগামীতে কোনদিন দিতে পারবে না : খাদ্যমন্ত্রী

নোয়াখালী প্রতিনিধি

বিএনপি অতীতে কিছু দিতে পারেনি, আগামীতে কোনদিন দিতে পারবে না : খাদ্যমন্ত্রী

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার

 খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, যারা অতীতে কিছু দিতে পারেনি, আগামীতেও তারা কিছু দিতে পারবে না। তিনি বলেন, তারা করোনার সময় বলেছিল ২ লাখ লোক না খেয়ে মারা যাবে। কিন্ত একজনও না খেয়ে মারা যায়নি বরং দেশ রিলিফে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর বলল দেশে দুর্ভিক্ষ হবে, কিছুই হয়নি। একটি মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। অতএব তারা সবসময় মিথ্যা কথাই বলবে। সে দিকে কান না দিয়ে উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করেন।

তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে হবে। এজন্য তিনি দলীয় সকল নেতাকর্মীদের ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান।     

মঙ্গলবার সকালে নোয়াখালী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, আপনারা এ সরকারের কাছে পাচ্ছেন বলে আরও চাচ্ছেন। যে সরকারের কাছে পাওয়া যায়, সে সরকারের কাছে চাওয়া যায়। আপনাদেরকে এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে, আপনাদেরও কিছু কাজ আছে। 

মন্ত্রী বলেন, আপনাদেরকে শেখ হাসিনা সরকারকে আবার ক্ষমতায় নিয়ে আসা উচিত বলে আমি মনে করি। এ নিয়ে আপনাদেরকে কাজ করতে হবে। নোয়াখালী থেকে যদি ছয়টি আসন আপনারা উপহার দিতে পারেন। আর আমার নওগাঁ থেকে যদি ছয়টি আসন দিতে পারি। তাহলে আবার উন্নয়ন টা চাইবো। 

খাদ্য মজুদের প্রসঙ্গ টেনে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন ২১ লক্ষ মেট্রিকটন খাদ্য মজুদ রাখতে পারি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটাকে ৩০ সালের মধ্যে ত্রিশ লাখের উপরে নিয়ে যেতে হবে।  এটা হলো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ। খাদ্যের কোনো প্রকল্প দাখিল করলে উনি না করেন না। আমরা করতে পারব।  আপনাদেরও তাকে রাখার ব্যবস্থাটা করতে হবে। সব দলাদলি ভেদাভেদ ভুলে যেতে হবে।   

মন্ত্রী মিল মালিকদের লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের নতুন আইন হয়েছে, আইনটা যেমন সৎ ব্যবসায়ীদের জন্য খুবই ভালো, আর অসৎ ব্যবসায়ীদের জন্য খুবই খারাপ। মজুদের বিরুদ্ধে, বিপণনের বিরুদ্ধে, সরবরাহের বিরুদ্ধে, যারা ক্যারি করবেন, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা নিয়ে যাবেন, ট্রাকে পরিবহন করবেন, সব বিষয়ে আইনে পরিষ্কার ভাবে বলা আছে। অনিয়ম করলে শাস্তি পেতে হবে। 

মন্ত্রী আরও বলেন, আমার মনে হয় আমরা এই মন্ত্রণালয় চালাতে গিয়ে মাঝে মাঝেই ধাক্কা খেয়েছি। চাল আছে, মজুদ আছে, প্রচুর আছে, অথচ প্রতিদিন বাজারে দাম বাড়ছে। অনেক গ্রুপ এই ব্যবসার সাথে জড়িত হয়েছে। আমরা থামিনি। বড় বড় গ্রুপের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। মামলা চলমান আছে। অতএব, আমি মামলার ভয় দেখাচ্ছি না। যারা ধানচালের ব্যবসা করে, এটাও একটা সেবা। মানুষের পেটের খাবার আপনার কাছে মজুদ করে রেখে, আরেকজনের পেটে কষ্ট দেওয়া এটা আল্লাহর তরফ থেকে আপনি ভালো সওয়াব পাবেন না। অতএব আপনাদের যেহেতু  ব্যবসা, সেই ব্যবসা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। মানুষের দিকটাও দেখতে হবে। কেউ দয়া করে মজুদ করবেন না।

সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এখন গরুর হাল পাওয়া যায় না। এটাকে যান্ত্রিকীকরণ করা হয়েছে। হাজার কোটি নয়, হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে সরকার অনেক কমমূল্যে সার দেয়। এটা আপনাদের মনে রাখতে হবে। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করা হয়েছে। এখন আমাদের কৃষি গবেষকেরা নিত্যনতুন ধান বের করছেন এবং তার ফলনও বেশি হচ্ছে। খরা সহিঞ্চু ধান, লবণ সহিষ্ণু ধান জলাবদ্ধতা সহিষ্ণু ধান বিভিন্ন জাতের ধান আবিষ্কার হয়েছে। এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটা অবদান।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন এনডিসি, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্যাহ খান, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইয়ুম সরকার, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এ.এম কায়ছার আলী ও জেলা খাদ্য কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর