৩ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০
বিএসএমএমইউ-তে ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস’ পালিত

রক্তদান আন্দোলনকে আরও বেশি জোরদার করতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

রক্তদান আন্দোলনকে আরও বেশি জোরদার করতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদানের মত মানবিক কাজের পরিধি বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, স্বেচ্ছায় রক্তদান আন্দোলনকে আরও বেশি জোরদার করতে হবে। এছাড়াও মরণোত্তর চক্ষুদান নিয়ে আমাদের আরও অনেক কাজ করার আছে। 

বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) ‘রক্তদানে হয় না ক্ষতি, চোখ ছুঁয়ে যাক চোখের জ্যোতি’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পালিত হয়েছে ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস’। দিবসটি উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দিবসটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুর রহমান। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল্লাহিল আজম।

এসময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, সন্ধানী দেশে স্বেচ্ছায় রক্তদান এবং চক্ষুদানের জন্য চক্ষুদান নিয়ে কাজ করে। এর সাফল্য শুধু চার হাজার তিনশত ব্যাগ দিয়ে হিসাব করলে হবে না। বরং একে একটি আন্দোলন হিসেবে আমাদের আরও জোরদার করতে হবে। শ্রীলঙ্কার মতো দেশ এত কম জনসংখ্যার দেশ, তারা কিন্তু জন্য কর্নিয়াজনিত অন্ধত্ব নিজেদের কর্নিয়া দিয়ে রোধ করে বিদেশেও প্রেরণ করে। আর আমরা আমাদের এত কর্নিয়াজনিত অন্ধত্ব এখনও রয়ে গেছে, আমরা পারিনি। আর কাজে আমাদের আরও অনেক কাজ করার আছে। 

অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত বলেন, বাংলাদেশে নয় লাখ ষাট হাজার ব্যাগ স্বেচ্ছায় রক্ত দেওয়া হয়েছে। তার মানে আমরা পেশাদার রক্তদাতাদের থেকে মুক্ত হতে পেরেছি। এর জন্য সন্ধানী নিশ্চয়ই একটি ধন্যবাদ প্রাপ্ত হবে। এর সাথে সাথে স্বেচ্ছায় রক্তদানের বিষয়টি জনপ্রিয় করতে তাদের আরও সক্রিয় হতে হবে। 

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মরণোত্তর চক্ষুদানের ক্ষেত্রে দাতার নিকটাত্মীয় সচেতনতার বাড়াতে হবে। একজন মানুষ যখন মরণোত্তর চক্ষুদানের প্রতিশ্রুতি দেন, তখন তার মৃত্যুর পর সেটি নিশ্চিতের কর্তব্য মূলত তার নিকটাত্মীয়দেরই।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু এবং মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. জয়নুল ইসলাম, সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি তাহসিন আলম সাইম এবং সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সৌমিক দাস।

এর আগে, দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হতে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি রের হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এসময় র‍্যালীতে অংশগ্রহণকারীগণের হাতে ছিল বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড-ব্যানার।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর