২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৮:৫১

নির্বাচনে না এসে বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে মানুষ হত্যা করছে : আইনমন্ত্রী

ব্রাহ্মণাবাড়িয়া প্রতিনিধি

নির্বাচনে না এসে বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে মানুষ হত্যা করছে :  আইনমন্ত্রী

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত চেয়েছিল ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে বাংলাদেশ পেয়েছি সেই বাংলাদেশকে ব্যর্থ করে দিতে। সেই বাংলাদেশকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য।

 বৃহস্পতিবার বিকালে নিজ নির্বাচনি এলাকা কসবা উপজেলার কায়েরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ৭৫ এর পরে দেশে গণতন্ত্র ছিল না, ছিল হত্যাযজ্ঞ, ছিল মানুষকে হত্যা করার লীলাখেলা।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে এসে এই দেশটাকে আন্দোলন সংগ্রাম করে মূলধারায় ফিরিয়ে আনেন। ১৯৯৬ সালে জননেত্রী ক্ষমতায় এসে এসব হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করার কাজ করেন। ২০০১ সালে আবারও তাকে ওই চক্র নির্বাচনে হারায়। আবারও হত্যার লীলাখেলা চলে। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপি-জামায়াত ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে চিরতরে শেষ করে দিতে চেয়েছিল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে বিএনপি জামায়াতের গা জ্বলছে। এরা বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রের তকমা লাগিয়েছিল। বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে না এসে সারা দেশে মানুষ হত্যা করছে। 

জনগণকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করে পৃথিবীর মানুষকে জানিয়ে দিন আপনারা আমাকে ভালোবাসেন। আমার ও আপনাদের মধ্যে সম্পর্ক হলো ভালোবাসার। এই সম্পর্ক ছিন্ন হবার নয়। আপনারা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন আপনাদের সেবা করতে। আমি গত ১০ বছর আপনাদের জন্য কাজ করেছি। আমি আপনাদের কাছে ভোট ভিক্ষা চাই। এ সময় হাজার হাজার জনতা সমস্বরে দুহাত তুলে তাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

আনিসুল হক বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে কসবা হলো মহান মুক্তিযুদ্ধের তীর্থভূমি। মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশকে স্বাধীন করতে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছে। জাতীর পিতার ঋণ আমরা পরিশোধ করতে পারিনি। ১৯৭৫ সালে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও সেনাবাহিনীর কতিপয় সদস্য তাকে হত্যা করে দেশটাকে আবারও পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল।

কায়েমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী সভাপতি মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে, উপজেলা আওয়ামীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, কায়েমপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকতিয়ার আলম রনি, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা ডা. সুলতান আহাম্মেদ। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কসবা পৌর মেয়র এম.জি হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি কাজী আজহারুল ইসলাম, কুটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান স্বপন, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল আজিজ, কসবা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকীসহ দলীয় উপজেলা নেতৃবৃন্দ। 

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর