চট্টগ্রাম-৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সমগ্র দেশে নির্বাচনের জোয়ার তৈরি হয়েছে, এতে বিএনপির সুর নরম হয়ে গেছে। বিএনপির নির্বাচন বিরোধীতা সারাদেশে ভোটের প্রচারণায় পদ্মা, যমুনা ও কর্ণফুলী নদীতে ভেসে গেছে। এখন বিএনপির সমর্থকরাও এই নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য বসে আছে। বিএনপি নেতা ড. মঈন খান বলেছেন, আমরা আর নির্বাচন বিরোধী প্রচারণা করছি না, প্রতিহত করার কথাও বলছি না। এখন আমরা নির্বাচন বয়কট করার কথা বলছি। এতে বুঝা যায়, এখন তাদের সুর নরম হয়ে গেছে।
বুধবার রাঙ্গুনিয়ার শিলক ইউনিয়নে নির্বাচনি জনসভায় এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। শিলক, সরফভাটা ও কোদালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এ জনসভার আয়োজন করে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আগে বলেছিল নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। সেই উদ্দেশ্যে তারা মানুষের উপর পেট্টোল বোমা নিক্ষেপ করেছে, ঘুমন্ত মানুষকে, ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারকে মেরেছে। ঘুমন্ত অবস্থায় মা এবং শিশু সন্তানকে পেট্টোল বোমা নিক্ষেপ করে অঙ্গার করে দিয়েছে। এসব করে তারা দেখতে পেলো, এতে তাদের কোন লাভ হয় নাই, মানুষ ভয় পায় নাই। মানুষ নির্বাচনি জোয়ারে শামিল হয়ে গেছে।তিনি বলেন, নির্বাচন আমাদের দেশে এখন উৎসব, সেই উৎসবে মানুষ এখন মেতে উঠেছে। সেই উৎসবের জোয়ারে বিএনপির সুর নরম হয়ে গেছে। তাই এখন তারা বলছে, আমরা নির্বাচন প্রতিহত নয়, নির্বাচন বয়কট করার কথা বলছি। তারা এতদিন পর বুঝতে পেরেছে মানুষ তাদের ডাকে এখন আর সাড়া দেয় না। পরিস্থিতিটা এমন যে বিএনপি আর কয়দিন পরে বলবে নির্বাচনে আমাদের সমর্থকরা অংশগ্রহণ করলেও অসুবিধা নেই। তারা যাই করুক না কেন, মাঠ পর্যায়ে কিন্তু বিএনপির সমর্থকরা নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আকতার কামাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে কাউছার নূর লিটন ও মাহমুদুল হাসান বাদশার সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম চিশতি, নজরুল ইসলাম তালুকদার, আব্দুল মোনাফ সিকদার, সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আজিম, এম এ মান্নান চৌধুরী, শহীদুল্লাহ চৌধুরী আইয়ুব খান, মুজিবুল ইসলাম সরফি, জাহাঙ্গীর আলম, চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আবদূর রউফ মাস্টার, মাস্টার আবুল হাশেম বিএসসি, বদিউল আলম, মো. ইসহাক, আনোয়ার তালুকদার ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুচ প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত
.jpg?v=1722291555)
