১৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৮:৫৭

দ্রুত ন্যায়বিচার প্রদান করে জনদুর্ভোগ কমানোর আহ্বান আইনমন্ত্রীর

খবর বাসসের

দ্রুত ন্যায়বিচার প্রদান করে জনদুর্ভোগ কমানোর আহ্বান আইনমন্ত্রীর

সংগৃহীত ছবি

দ্রুত ন্যায়বিচার প্রদান করে জনগণের হয়রানি ও দুর্ভোগ কমাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি।

আনিসুল হক টানা তৃতীয়বার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় নারী ডেপুটি এটর্নি জেনারেল (ডিএজি) ও সহকারী এটর্নি জেনারেল (এএজি) আজ সচিবালয়ে শুভেচ্ছা জানাতে এলে তাদের উদ্দেশ্যে দেয়া এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, মামলা জটের কারণে জনগণ একদিকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়, অন্যদিকে নানারকম হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হয়। তাই দ্রুত ন্যায়বিচার প্রদান করে জনগণের হয়রানি ও দুর্ভোগ কমাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

মামলাজট নিরসনে অনেকগুলো মামলা ফাস্ট ট্র্যাক করে দেয়ার কথা উল্লেখ করে ডিএজি ও এএজি'দের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, হাইকোর্টে অনেক রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। এগুলোর 'ইন্টিমেশন' তাড়াতাড়ি করতে হবে। 

তিনি বলেন, হাইকোর্টে সবচেয়ে বেশি হয় 'স্টে' যা 'ভ্যাকেট' করার জন্য প্রত্যাশী মন্ত্রণালয়/সংস্থা সলিসিটর অফিসের মাধ্যমে নির্দেশনা দিতে পারে। সেটা যদি একটু তাড়াতাড়ি প্রসেস করে তথ্যাবলী আইন মন্ত্রণালয়কে দিয়ে দেয়া হয়, তাহলে ডিসপোজাল/নিষ্পত্তির ব্যাপারে তড়িৎ কাজ করা সম্ভব হবে।

ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। তিনি ২০০০ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন করেছিলেন এবং এই আইনের আওতায় জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে এই সংস্থার কার্যক্রম স্থবির হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে আবারও সরকার গঠন করলে এই সংস্থাকে সচল করা হয় এবং গত ৫-৭ বছরে এটি একটি সিস্টেমের মধ্যে এসেছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণেও একটি আইনগত সহায়তা প্রদান অফিস চালু করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন যে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে এবং যে নেতৃত্ব দিয়েছে সেটা বিগত নির্বাচনে জনমত গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর