৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৭:১০

‘জলবায়ু-সহনশীল প্রাণিজ আমিষ জাতীয় খাদ্য নিশ্চিতকরণে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘জলবায়ু-সহনশীল প্রাণিজ আমিষ জাতীয় খাদ্য নিশ্চিতকরণে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে’

আব্দুর রহমান (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশে কমবয়সী নারী ও বালিকাদের স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য জলবায়ু-সহনশীল প্রাণিজ আমিষ জাতীয় খাদ্য নিশ্চিতকরণে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান।

রবিবার হোটেল লেক ক্যাসেল, গুলশান-২ এ অনুষ্ঠিত 'বাংলাদেশে কম বয়সী নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য জলবায়ু-সহনশীল প্রাণিজ আমিষ খাদ্য ব্যবস্থা' শীর্ষক প্রকল্পের স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে মতবিনিময় এবং সূচনা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইমদাদুল হক চৌধুরী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. দিদার উল আলম, ইনস্টিটিউ অব পাবলিক হেলথ নিউট্রিশন (আইপিএইচএন) এর পরিচালক ড. শাহ গোলাম নবী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া কর্মশালায় চেয়ারপারসন হিসেবে ড. শকুন্তলা থিলস্টেড,  ড. নান্না রুস, প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর এবং AQUAFOOD প্রকল্পের সমন্বয়কারী, ড. ডেভিড লিটল, অধ্যাপক, স্টার্লিং ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্য উপস্থিত ছিলেন। 

দারিদ্র্য, সামাজিক পক্ষপাত, বাল্যবিবাহ এবং কম বয়সে গর্ভাবস্থার সম্মুখীন কিশোরী ও যুবতীরা বিশেষভাবে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কার্যকর স্থানীয় পদক্ষেপ এবং নীতি বাস্তবায়নের অনুপস্থিতির কারণে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ব্যবস্থাপনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী বলেন, প্রাণিজ খাদ্য উৎপাদন, পুষ্টি এবং জনস্বাস্থ্যের মধ্যে খাতগত বৈষম্য সমন্বিত নীতিমালাগুলো বাস্তবায়নে বাধা দেয় যা জলবায়ু পরিবর্তনের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনাকে সীমিত করে তোলে। তবে AQUAFOOD প্রকল্পটি গবেষণার মাধ্যমে প্রাণিজ খাদ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত মৎস্য খাতসহ মানুষের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সম্পর্কিত তথ্য ও জ্ঞানের যে সীমাবদ্ধতা রয়েছে তা চিহ্নিত করতে পারবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

তৃণমূল পর্যায়ে AQUAFOOD প্রকল্পটির কার্যক্রমকে সম্প্রসারিত করার মাধ্যমে বিশেষ করে নারী ও কিশোরী মেয়েদের তথা সমগ্র সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য অধিক পরিমাণে পুষ্টি সহায়তায় অবদান রাখবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং প্রকল্পটির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে সম্ভাব্য সকল ধরণের সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। 

প্রাণিজ খাবার বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাস এবং অর্থনীতি উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশের সমৃদ্ধ উপকূলীয় এবং নদীমাতৃক ইকোসিস্টেম ঐতিহ্যগতভাবে মৎস্য আহরণের ব্যাপক সুযোগ করে দিয়েছে এবং মৎস্য চাষকে দ্রুত সম্প্রসারণের ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে। 

মৎস্য খাত জাতীয় জিডিপিতে ২.০৮% এবং কৃষি জিডিপিতে প্রায় ২১.৮৩% অবদান রাখে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করার লক্ষ্যে সরকার মৎস্যখাতকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে বিবেচনা করছে বলে তিনি এসময় মন্তব্য করেন।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর