১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ২০:১৬

অনিয়ম দূর করতে সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে : রেলমন্ত্রী

দিনাজপুর প্রতিনিধি

অনিয়ম দূর করতে সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে : রেলমন্ত্রী

লোকোমোটিভ কারখানা পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম

সবরকম অনিয়ম দূর করে রেলওয়েতে লোকসান কমানো হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। তিনি বলেন, রেলওয়ের লোকসান কাটিয়ে উঠতে বেশকিছু পদক্ষেপ হাতে নিতে হবে। মেজর কিছু সিদ্ধান্ত হাতে নিলে এটি লাভজনক করা সম্ভব। টিকিট কালোবাজারির ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। রেললাইন সম্প্রসারণ ও প্রতিটি জেলায় পৌঁছানোর কথাও জানান তিনি।

শনিবার দুপুরে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

রেলমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটাকে লাভজনক করতে হলে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে। এই সিদ্ধান্তগুলো আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে নেবো।

তিনি বলেন, টিকিট কালোবাজারির ব্যাপারে ইতিমধ্যে দুটি চক্রকে ধরা হয়েছে। ঈদের আগে টিকিট কালোবাজারি যেন না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এর সঙ্গে অনেক সরকারি সংস্থাকে জড়িত করা হয়েছে, যাতে করে টিকিট কালোবাজারি না হয়। সহজকেও এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। যদি কেউ জড়িত থাকে, তাহলে তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

এসময় দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, মহাপরিচালক (ডিজি) কামরুল হাসান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার, প্রধান যন্ত্রপ্রকৌশলী (সিএমই, পশ্চিম) মুহম্মদ কুদরত-ই খুদাসহ রেলওয়ে মন্ত্রণালয় ও লোকোমোটিভ কারখানার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন পরিদর্শন করেন।

বিরল থেকে ভারতের রাধিকাপুর পর্যন্ত রেলওয়ে সংযোগ স্থাপন করে স্থলবন্দর চালুর ব্যাপারে জিল্লুল হাকিম বলেন, এগুলোর সঙ্গে অনেকগুলো বিষয় জড়িত রয়েছে। আমাদের রেলওয়ের বগি দরকার, ইঞ্জিন দরকার, চালক দরকার, স্টেশন মাস্টার দরকার, বিভিন্ন টেকনিক্যাল লোকজন জড়িত। এগুলোর ব্যবস্থা করতে পারলে আমাদের সিদ্ধান্ত রয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রেললাইন সম্প্রসারিত করতে হবে। প্রতিটি জেলায় রেললাইন পৌঁছাতে হবে। কারণ, এটা এখন সস্তা। এটা যাত্রীদের জন্য এবং মালামাল পরিবহনের জন্যও। আমরা চেষ্টা করছি সস্তায় পরিবহন ব্যবস্থা চালু করার।

তিনি বলেন, এই কারখানার ব্যাপারে সম্পূর্ণভাবে আলোচনা করে সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এখানে জনবল সংকট রয়েছে। এটি দূর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। চলতি বছরেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর