৫ মার্চ, ২০২৪ ১৯:২২

অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

অনলাইন প্রতিবেদক

অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৪-এর তৃতীয় দিনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

জেলা প্রশাসকদের সাথে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কী আলোচনা হয়েছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকরা যেমন বলেন, গোটা বাংলাদেশে গণমাধ্যমে একটা শৃঙ্খলা নিয়ে আসা দরকার, সাংবাদিকদের ন্যূনতম একটি যোগ্যতা থাকা দরকার, গণমাধ্যমকর্মী আইন শিগগিরই করে ফেলা দরকার, জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকেও একই ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। সাংবাদিকরাসহ সর্বস্তরে সবার দাবি যেহেতু একই রকম, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে এ দাবিগুলোর সাথে একমত পোষণ করে সে জায়গায় কাজ করবো।

এ সময় গুজব প্রতিরোধে বা নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে কোনো সুপারিশ অথবা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিনা-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গুজব নিয়ে জেলা প্রশাসকরাসহ আমরা সবাই চিন্তার মধ্যে আছি। গুজব প্রতিরোধ নিয়ে জেলা প্রশাসকদের সাথে কিছু আলাপ হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে যে গুজবগুলো ছড়ায়, সেটা প্রতিরোধ করতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় একা পারবে না। এজন্য আমাদের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে একসাথে কাজ করতে হবে।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অনলাইনে কতগুলো অনিবন্ধিত পোর্টাল আছে, যে পোর্টালগুলো বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়ায় সেগুলোকে শৃঙ্খলায় আনার একটা পরিকল্পনা আমাদের আছে। যেসব অনলাইন পোর্টাল পেশাদার, রেজিস্টার্ড (নিবন্ধিত) এবং আইনগতভাবে সিদ্ধ, সেগুলোই থাকবে এবং চলবে। যাতে করে সবকিছুর মধ্যে একটা জবাবদিহি এবং শৃঙ্খলা থাকে। যেটা সাংবাদিকরাও চান।

জেলা প্রশাসকরা এক্ষেত্রে কী ভূমিকা রাখতে পারেন-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকরা তৃণমূলের সাথে সম্পৃক্ত। তারা আমাদের তথ্য পাঠাতে পারেন। প্রান্তিক পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের যে ঘটনাগুলো ঘটছে, সেগুলো নিয়ে তারা অ্যাকশনে যেতে পারেন।

প্রতিমন্ত্রী যোগ করেন, জেলা প্রশাসকরা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ক্ষেত্রে আরও কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। ক্যাবল অপারেটররা অনেক কিছু তাদের মতো কনটেন্ট দিয়ে দেয়, দর্শক-শ্রোতার কাছে পৌঁছায়। সেই কন্টেন্টগুলো আসলে সঠিক কিনা, ক্লিন ফিল্ডের যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ হচ্ছে কি না, এ বিষয়গুলো আমরা জেলা প্রশাসকদের দেখার জন্য বলেছি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর