আদি বুড়িগঙ্গা পূর্বের অবস্থায় ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এমপি মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।এ সময় তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরের বিভিন্ন খাল এবং নালা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা আবাসিক ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের বিরুদ্ধে জোড়ালো পদক্ষেপ গ্রহণ কার্যক্রম চলমান আছে। ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর কামরাঙ্গীর চর এলাকায় নির্বাচনি জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শেষ হয়েছে এবং আদি বুড়িগঙ্গা পূর্বের অবস্থায় ফিরে এসেছে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, শহরের বৃষ্টির পানির সুষ্ঠু প্রবাহের জন্য খাল, নালা, জলাশয় (জিরানী খাল, মান্ডা খাল, সেগুনবাগিচা-আরামবাগ খাল, গোড়ান-বাসাবো খাল, শ্যামপুর খাল ও কালুনগর খাল) এবং বক্সকালডার্ট (সেগুনবাগিচা, পান্থপথ ও পরিবাগ) সমূহে দীর্ঘদিনের জমে থাকা ময়লা, আবর্জনা ও রাবিশ পরিস্কার করা হয়েছে, নিকটবর্তী নদী বা নিষ্কাশন পর্যন্ত পানি প্রবাহ নির্বিঘ্নে করার জন্য অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হয়েছে ও উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি আরও জানান, খাল পুনরুদ্ধার, সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২০ কিলোমিটার-দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট চারটি খাল (মান্ডা, জিরানী, কালুনগর ও শ্যামপুর) উন্নয়ন ও নদীর সাথে পুনঃসংযোগ, স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত এবং নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৮৯৮,৭৩৩ কোটি টাকা প্রচলিত ব্যয় সম্বলিত খাল উন্নয়ন প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তী সকল ধরণের অবৈধ স্থাপনাসমুহ উচ্ছেদ করে খাল সমূহের নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে।
এমপি মোরশেদ আলমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী ঢাকায় পানির জলাধারগুলো ক্রমেই বিলীন হওয়ার পথে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা মোতাবেক ঢাকায় জলধারগুলো উন্মুক্ত করে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অগ্নিকাণ্ড বা দুর্ঘটনা ঘটলে ঢাকা ওয়াসা তাৎক্ষণিক অগ্নি নির্বাপন ফায়ার সার্ভিসকে সার্বিক সহযোগিতা করে থাকে।
বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দৈনিক পানির চাহিদা প্রায় ১৩৫ কোটি লিটার বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। চাহিদা অনুযায়ী পানির কোনো ঘাটতি নেই বলেও তিনি জানান।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খানের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দৈনিক পানির চাহিদা প্রায় ১৩৫ কোটি লিটার। গ্রীষ্ম ও শীত মৌসুমে পানির চাহিদার তারতম্য হয়ে থাকে। চাহিদা অনুযায়ী পানির কোনো ঘাটতি নেই। বর্তমানে ঢাকা শহরে মোট পানির চাহিদা ২৬৫-২৭০ কোটি লিটার। যদিও ঢাকা ওয়াসা চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত অর্থাৎ ২৭৫-২৮০ কোটি লিটার পানি উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত