১৮ মার্চ, ২০২৪ ১৫:১৯

দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা চাইলেন মঈন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা চাইলেন মঈন খান

নির্বাচনপর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশে আসা এনডিআই এবং আইআরআই-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন বলেছেন, সবাই বলছেন ৭ জানুয়ারি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি। সরকার তা মেনে নিতে নারাজ। ক্ষমতাসীনরা বলছেন, বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতায় তারা ক্ষমতায় এসেছেন। তাদের কথায়ই প্রতীয়মান হয়, জনগণের ভোটে তারা ক্ষমতায় আসেননি। 

তিনি বলেন, বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রের সহযোগিতায় আমরা এ দেশ অল্প সময়ের মধ্যে স্বাধীন করতে পেরেছে। আজকে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারেও আমরা বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করছি।
 
সোমবার দুপুরে রাজধানীর হাতিরপুল কাঠাল বাগানে সদ্য কারামুক্ত বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবিকে শুভেচ্ছা জানাতে তার বাসভবনে গেলে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন মঈন খান। 

মঈন খান বলেন, সরকারের অনেক কথাতেই প্রমাণ হয়েছে তারা নির্বাচনের নামে একটি নাটক মঞ্চস্থ করেছে। আজকে যারা এ সরকারকে ক্ষমতায় আনতে সহযোগিতা করেছে তারা কি দেশের মঙ্গলের জন্য করেছেন? নাকি জনগণের বাকস্বাধীনতা হরণের জন্য করেছেন?

তিনি বলেন, সরকার এদেশে বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছেন। তারা বিএনপিকে ভেঙে নির্বাচনে আনার জন্য অনেক প্রকল্প গ্রহণ করেছিল। মেজর (অব.) হাফিজ সাহেবকে দিয়েও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাকে শহীদ জিয়ার আদর্শ থেকে দূরে সরাতে পারেনি। 

তিনি বলেন, যে গণতন্ত্রের জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, জনগণ সে গণতন্ত্র ফেরত চায়। আজকে রাষ্ট্রযন্ত্রের অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছে। উন্নয়নের নামে জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে। ১০ হাজার কোটি টাকার কাজ ৩০ হাজার কোটি টাকায় করা হচ্ছে। উন্নয়নের নামে লুটপাট হচ্ছে, আর কাফফারা দিচ্ছে জনগণ। 

এ সময় রবির পরিবারের সদস্যরা মঈন খানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

এ সময় শেখ রবিউল আলম রবি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম অত্যাচার চালিয়েছে। কারো কারো হাতের নখও তুলে ফেলেছে। কারাগারে নেতাকর্মীদের সেলের বাইরে যেতে দেওয়া হতো না। এটি আমাদের জন্য ছিল নির্মম কারাবাস। এটি ছিল বিএনপি নিধনের একটি প্রক্রিয়া। 

এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আবুল খায়ের লিটন, জাহাঙ্গীর পাটোয়ারী, প্রচার দলের সভাপতি মাহফুজ কবির মুক্তা, সাবেক মুজিবুর রহমান মজু, ধানমন্ডি থানা নেতা কাবিল আহমেদ, থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সদস্য সচিব মোহাম্মদ সৈকত নিউ মার্কেট থানা সদস্য সচিব মো. চঞ্চলসহ কলাবাগান, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি ও হাজারীবাগ থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রায় নয় মাস কারাভোগের পর ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন রবি। গত বছর ২৩ মে ধানমন্ডির সিটি কলেজের সামনে থেকে গ্রেফতার রবি। বর্তমান সরকারের আমলে নয়বার কারাবরণ করেন তিনি। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় ১৯৩টি মামলা। তিনটি মামলায় তার সাড়ে আট বছর সাজা হয়।

এর আগে সকালে মঈন খান সদ্য কারামুক্ত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ারের রাজাবাজারস্থ বাসভবনে যান।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর