২৮ মার্চ, ২০২৪ ২০:৪৩

বিএনপির একদফা আন্দোলনের সমাপ্তি চান বিরোধী নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির একদফা আন্দোলনের সমাপ্তি চান বিরোধী নেতারা

সংগৃহীত ছবি

বিএনপির ইফতারে আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার বিরোধী ‘একদফা আন্দোলনের’ সমাপ্তি ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। সরকার বিরোধী রাজনীতিকরা তাদের ঐক্য নিয়ে নিজেদের উদ্দেশ্যে অর্থবহ বক্তব্য রাখেন।

আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্টজনদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বিএনপি, জামায়াত, নাগরিক ঐক্যসহ সমমনা বিরোধী দলগুলোর নেতারা অংশগ্রহণ করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, সমমনা জোটের নেতা খন্দকার লুৎফুর রহমান, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
 
এছাড়া বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, এবি পার্টির আহ্বায়ক এবিএম সোলায়মান চৌধুরী, বিকল্প ধারার আহ্বায়ক অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুন চৌধুরী প্রমুখ অংশ নেন।   

শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় বিএনপির ইফতারে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পদের দায়িত্বশীলরা উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অত্যন্ত কঠিন সময় অতিক্রম করছি। ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী শক্তি গোটা জাতির উপর, আমাদের সকল আশা আকাঙ্ক্ষাকে ধূলিস্যাৎ করে দিয়ে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার তৎপরতা চালাচ্ছে। আমাদের সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার। আমরা যারা গণতন্ত্র চাই, যারা চাই কল্যাণমূলক দেশ, তাদের অবশ্যই ৩১ দফাকে সামনে রেখে আন্দোলন করতে হবে। একদফা আন্দোলন যে শুরু করেছিলাম, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তার শেষ করতে হবে।
বক্তব্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে শহীদগণসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য প্রাণ বিসর্জনকারী নেতাকর্মীদের স্মরণ করেন মির্জা ফখরুল। 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সাত জানুয়ারি ও তার আগে ও এখন পরিস্থিতি বস্তুগত কোনও পরিবর্তন হয়নি। রাজনৈতিকভাবে মানুষ সংঘবদ্ধ। মানুষের মধ্যে এই লড়াই জিততে হবে, এই বোধ বেশি। আরও বেশি ঐক্য করে, আরও বেশি আন্দোলনে যাবো। এই হোক আজকের শপথ।

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গোটা জাতি জুলুমের শিকার। আমরা যেন আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখতে পারি, হে মাবুদ তুমি আমাদের শক্তি যোগাও। এই সংগ্রামে ভেদাভেদ বা বিরোধ নয়, মানুষের মুক্তির জন্য জন্য ঐক্যবদ্ধ লড়াই করি আসুন।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আমাদের আন্দোলনের একটি পর্যায় অতিক্রম করেছি। আমরা একনায়কতন্ত্রের সরকারকে বিদায় দেবো। আমরা ঐক্যে বিশ্বাস করি। জাতিকে আমরা ঐক্য করি। ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো।

স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, আমরা গভীর সংকটে আছি। আন্দোলন সফল হয়েছে। জনগণ ভোট বর্জন করেছিলো। কৌশল ও নীতিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলে এই সরকার হঠাবো।

সমমনা জোটের নেতা খন্দকার লুৎফুর রহমান তার বক্তব্যে ভারতের সমালোচনা করেন। তিনি দাবি করেন, ইফতারও করতে দিচ্ছে না সরকার।  

বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, কে ডান, কে বাম, কে মধ্য, তা দেখার সময় নয়। একসাথে রাজপথে মিছিল করবো। গুটি কয়েকজনের জন্য পারিনি। তাদের আমরা চিহ্নিত করেছি। আমাদের বিভাজনের চেয়ে ঐক্যের রাজনীতি করতে হবে।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর