৩ এপ্রিল, ২০২৪ ২১:৪২

ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলন উগ্র জাতীয়তাবাদী প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তা-ভাবনারই প্রতিচ্ছবি : শেখ পরশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলন উগ্র জাতীয়তাবাদী প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তা-ভাবনারই প্রতিচ্ছবি : শেখ পরশ

ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলন উগ্র জাতীয়তাবাদী প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তা-ভাবনারই প্রতিচ্ছবি বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দনিয়া কলেজ মাঠে ১০০০ গরিব ও অসহায় মানুষের মাঝে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনউদ্দিন রানা এবং সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।

শেখ পরশ বলেন, বঙ্গবন্ধু একমাত্র নেতা যিনি সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন বাঙালি জাতির জন্য একমাত্র জাতিরাষ্ট্র, আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশ। তাই তিনি একদিকে যেমন বিশ্বের সমগ্র বাঙালি জনগোষ্ঠীর প্রাণের নেতা, অন্যদিকে শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের নেতা, বিশ্ব মানবতার নেতা। বঙ্গবন্ধু শুধু একটি স্বাধীন দেশই দিয়ে যাননি, বাংলাদেশের গরিব-দুঃখীসহ সব নাগরিক যাতে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে, সেজন্য একটা রূপকল্পও তৈরি করে দিয়ে গেছেন। সোনার বাংলার আদর্শিক ও মৌলিক চরিত্র হলো স্বনির্ভর অর্থনীতি, শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা ও ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র গড়ে তোলা। আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, তার একটা উৎকর্ষ উদাহরণ সর্বজনীন পেনশন প্ল্যান।

তিনি বলেন, আজকে মুক্তিযুদ্ধের সময় যেই ভারত আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে, আমাদের অস্ত্র দিয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে আমাদের সাহায্য করেছে; বিএনপি-জামায়াত তাদের এখন বিরুদ্ধাচারণ করছে। বিদেশি শক্তির উস্কানি এবং প্রতিশ্রুতিতে এই অবস্থান নিয়ে থাকলেও এই আন্দোলনের কোনো ভবিষ্যৎ নাই। কারণ, দেশের একটি বিরাট জনগোষ্ঠীকে ভারতীয় পণ্য বিলাসিতার জন্য নয় বরং বেঁচে থাকার জন্য ব্যবহার করতে হয়। ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলন উগ্র জাতীয়তাবাদী প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তা-ভাবনারই প্রতিচ্ছবি। তাই নতুন প্রজন্মকে এ সকল অপপ্রচার ও দুরভিসন্ধি সম্পন্ন আন্দোলনকে প্রতিহত করতে হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, উপ-দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, কার্যনির্বাহী সদস্য এ বি এম আরিফ হোসেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন, হারুন অর রশিদ, সৈয়দ আহমেদ, মাহবুবুর রহমান পলাশ, যুগ্ম-সম্পাদক জাফর আহমেদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল মারুফ, প্রচার সম্পাদক এরমান হক বাবু, দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর