রসিকতা করতে করতে সরকার প্রধান খুনিদের মুক্তির সনদে স্বাক্ষর করে দেন বলে অভিযোগ করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে ‘সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক ওপর পুলিশি হামলার ১৪ বছরেও বিচার না হওয়ায় দোষীদের বিচারের দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সরকার কিছু-কিছু মানুষকে হঠাৎ করে সামনে আনেন বলে উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, খুব রসিকতা করে, হাসি-ঠাট্টা করে তাকে সর্বোচ্চ দায়িত্ব দিয়ে দেন। আজকে রাষ্ট্রের প্রধান, ১ নম্বর ব্যক্তি রসিকতা করতে-করতে খুনিদের মুক্তির সনদে স্বাক্ষর করেন। রসিকতা করতে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের আরও প্রমোশন দিয়ে দেন। এরা জালিম সরকার, প্রতারক সরকার।তিনি বলেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো ট্যালারেন্স। কিন্তু তিনি বেনজীর আহমেদ, আজিজ আহমেদ, মতিউরসহ তাদের প্রথম দেখেছেন? আজিজদের ভাইদের তিনি প্রথম দেখেছেন? তাকে তিনি প্রমোশন দেননি, প্রশয় দেননি। আর আমাদের ডেপুটি স্পিকারের ছেলে ২০০ কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গিছে। এই নিয়ে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করলে পরিবার থেকে বলা হয়েছে, বেড়াতে গেছে। এই ২০০ কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকির মামলা কি আছে? এই নিয়ে কোনো মামলা হয়েছে কি? এই নিয়ে গতকাল কয়েকটি গণমাধ্যম নিউজও করেছে। আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল বলেছেন, এরা কেউ আমাদের দলের নয়।
মান্না বলেন, পুলিশের একটি সিপাহী পদে চাকরি দিতে গেলে আগে তার পরিবারের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে। তার পরিবারের কেউ, দূর সম্পর্কের কেউ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে ছিল, তাহলে তার চাকরি হয় না। কিন্তু সরকার একজন মানুষকে সামরিক বাহিনী থেকে ধীরে-ধীরে বাহিনী প্রধান করে দিলেন, তার পরিবারের খোঁজ নেননি। তার আপন ভাই জেলে আছে, এটা জানতেন না?
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, এই সরকার মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বললেও তাতে বিশ্বাস করে না। তারা সংখ্যালঘুদের সম্পতি দখল করে। এই বেনজীর আহমেদ হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছে। এই হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দিলেও তিনি কিছুই করেননি।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত
