৮ জুলাই, ২০২৪ ১৬:০৪

বিসিএসের ভাইভায় ২০০ নম্বর, যাতে দলীয় লোকদের নিয়োগ দেওয়া যায়: রিজভী

অনলাইন ডেস্ক

বিসিএসের ভাইভায় ২০০ নম্বর, যাতে দলীয় লোকদের নিয়োগ দেওয়া যায়: রিজভী

সংগৃহীত ছবি

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিসিএসের ভাইভা পরীক্ষায় ২০০ নম্বর রাখা হয়েছে, যাতে নম্বর বাড়িয়ে দিয়ে দলীয় লোকদের নিয়োগ দেওয়া যায়। এভাবে অনাচার তৈরি করেছেন সরকার। কিন্তু তাদের লুণ্ঠনের রাজত্বের বিরুদ্ধে জাগরণ তৈরি হয়েছে। জনগণ মেনে নেয়নি তাদেরকে।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স রুমে এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এসব কথা বলেন।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্মমহাসচিব বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন যৌক্তিক ও ন্যায্য। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, অবিলম্বে ছাত্রদের দাবি মেনে নিন। না হলে পরিস্থিতি ভয়ানক হবে।

বিএনপির চেয়ারপারসন গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া মোনাজাতের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল। এসময় খালেদা জিয়াসহ দলের অসুস্থ নেতাকর্মীদের সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।

রুহুল কবির রিজভী কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন, ‘সরকারের ইচ্ছা ও আদালতের ইচ্ছা এক হয় কী করে? যে কোটা আন্দোলনে সরকার কোটা বাতিল করেছিল, সেটি তখন কোর্টও রায় দিয়েছিল। তাহলে এখন আবার আদালতকে দিয়ে সেটি পুনর্বহাল করা হয়েছে। আসলে সরকার প্রধান মেধা চান না। একটি মেধাবী গোষ্ঠী রাষ্ট্র পরিচালনা করবে, এটাই গোটা বিশ্বের নীতি। কিন্তু, তিনি সেই প্রক্রিয়াটি নষ্ট করেছেন আদালতকে দিয়ে। আদালতের রায় সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন। তার মনে ক্ষোভ রয়ে গেছে। যেমন তিনি ক্ষোভের কারণে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি করে রেখেছেন।’

রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘আমরা স্বাধীন দেশে বাস করেও স্বাধীন নই। এ কথাটিই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি গোটা জাতিকে অবজ্ঞা করেছেন। অপমান করেছেন। এর আগে এমন দাসের মনোভাবাপন্ন কথা আমরা কখনও শুনিনি। কারণ, আওয়ামী সরকার কখনো চাইনি দেশটা মাথা উঁচু করে দাঁড়াক।’ 

সংগঠনের সভাপতি কাজী মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনের পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, সহ-সম্পাদক আবদুল বারী ড্যানি, অর্থনৈতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল হক, সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, যুবদলের সাবেক নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের ডা. তৌহিদুর রহমান আওয়ালসহ ওলামা দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর