শিরোনাম
১৯ আগস্ট, ২০২৪ ২০:৩৩

আওয়ামী লীগ আর কাদের সিদ্দিকী এক না : কাদের সিদ্দিকী

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগ আর কাদের সিদ্দিকী এক না : কাদের সিদ্দিকী

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ‘আমি কোনো দিন শেখ হাসিনার কোনো অন্যায়ের সঙ্গে ছিলাম না। কিন্তু আমার কি কপাল, আজকে ২৫ বছর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ করেছি। কতবার ওরা আমার মিটিং ভাঙ্গছে, আমার গাড়ি ভাঙ্গছে, আমাকে মিটিং করতে দেয় নাই তারপরও বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে গেলে আমাকে আওয়ামী লীগ বলে আমার গাড়ি ভাঙ্গে। আমি এখনো বুঝাতে পারি নাই যে, আওয়ামী লীগ আর কাদের সিদ্দিকী এক না।’ 

সোমবার বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার তালতলা চত্বরে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আয়োজনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন কাদের সিদ্দিকী।

কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘গত ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সামনে আমার গাড়ি ভেঙ্গেছে। আমাকে কেউ কেউ বলে জামায়েতের লোকেরা আপনার গাড়ি ভেঙ্গেছে। আমি বললাম আমি ওদের চিনি, অনেক জামায়েতের নেতা-কর্মীদের সাথে দেখা হয়েছে, কথা হয়। চরমোনাই পীরের লোকেরা আমাকে ছায়ার মতো দেখে। আমার তো মনে হয় না জামায়েতের লোকেরা আমার গাড়ি ভাঙ্গতে পারে। তখন কেউ কেউ বলে আপনি তো বিএনপির সমালোচনা করেন তাই বিএনপির লোকেরা আপনার গাড়ি ভাঙ্গছে। আমি বলেছি বিএনপির লোকেরা আমাকে ওস্তাদ মানে, সালাম করে আমি কী করে মানবো ওরা আমার গড়ি ভেঙ্গেছে। তখন ওরা বলে কেউ না কেউ তো গাড়ি ভাঙ্গছে। আমি বলেছি ওটা শয়তানে ভাঙ্গছে, ওটা ভাঙ্গোক, আরও একটা গাড়ি ভেঙ্গে যদি বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি হয়, এদেশের মানুষের ভালো হয় তাহলে আমার আরও একটি গাড়ি ভাঙ্গোক।’

উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আলহ্বাজ সবুর খানের সভাপতিত্বে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি ছাত্র-যুবকদের বলব, যারা বেষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছে তারা পৃথিবীতে একটি ইতিহাস সৃষ্টি করছে। কিন্তু তারা যদি এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে আজকে হাসিনার দশা যা হয়েছে তাদের দশা কিন্তু এর চেয়ে ভালো হবে না। আমি ছাত্র বন্ধুদের যে সরলতা দেখেছি যে সততা দেখেছি গত ৩০ বছরে এই চোরের শাসনে তা দেখা যায় নাই। প্রত্যেকটি গাড়ি খুললেই টাকার বস্তা পাওয়া যায়। সব মন্ত্রীরা চোর। চুরি করার জন্য মানুষ তাদের কেউ নেতা বানায় নাই।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে আমি অনেক বার বলেছি এটা বাবার দেশ, দাদার দেশ ভাববেন না, এটা মানুষের দেশ ভাবতে চেষ্টা করুন। শেখ হাসিনা আমার কথা শুনে নাই। তিনি শেষ পর্যন্ত বলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা, কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছাত্ররা যদি আমার সাথে কথা বলতে চায়, আমার দরজা খোলা, তারা আসতে পারে। কেন তারা আসতে পারে, তাদেরকে আপনি দাওয়াত করতে পারতেন না? বলতে পারতেন না যে তোমরা আস আমি তোমাদের সঙ্গে কথা বলি। পারলে তোমাদের বাপ-চাচাদের নিয়ে আস, আমি তাদের সঙ্গে কথা বলি তারপরও টেই ধরে বসে রইলেন। যদি তাদের (আন্দোলনরত শিক্ষার্থী) ইচ্ছে হয় তারা আসতে পারে, তো ইচ্ছে হইছে আপনাকে গাড় ধরে বাইর কইরা দিছে।”

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর