জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী বলেছেন, পতিত স্বৈরশাসক হাসিনা পালিয়ে গেলেও তাদের দোষররা এখনো এদেশে রয়ে গেছে। এরা দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে নানা পাঁয়তারা করছে। তাই তাদের কোন পাতানো ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। তারা প্রলোভন দিবে প্রলুব্ধ করবে। তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে নোয়াখালী শহরের নোয়া কনভেনশন সেন্টারে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে যৌথ কর্মী সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে সকালে ফেনী জেলার সদর উপজেলায় লেমুয়া ইউনিয়নে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে কুশল গণসংযোগ, পথসভা ও লিফলেট করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি।
ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি আবু আফসান ইয়াহিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন, সহ সাধারণ সম্পাদক রাসেল খান, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল প্রমুখ।স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য জিয়া পরিবার ও বিএনপি অপরিহার্য।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জিলানী বলেন, বিগত সময়ে রাজপথে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। কিন্তু সেই ত্যাগ জিয়া পরিবারের থেকে বেশি নয়। একটা মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে ৭ বছর কারাগারে রাখা হয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়ার চক্রান্ত হয়েছিল, কিন্তু তিনি যাননি। বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন ‘দেশের বাইরে আমার আর কোনো ঠিকানা নেই। মরতে হলে বাংলাদেশে মরবো, বাঁচতে হলে বাংলাদেশে বাঁচবো’। এই দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে, দেশের জনগণের কথা চিন্তা করে তিনি দেশে থেকে গেলেন।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আমাদের আন্দোলন চলমান। বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। এখনো নানাভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। দলে কোনো ধরনের সুযোগসন্ধানীরা যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। কেউ যদি সংগঠন বহির্ভূত কোনো কাজে লিপ্ত হয় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ অন্যায় করলে তাকে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জিলানী বলেন, সবাইকে সংযত হতে হবে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এমন কিছু করা যাবে না যাতে দলের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়। অবৈধ উপায়ে অর্জিত টাকার বিরিয়ানি না খেয়ে বৈধপথে হালাল উপার্জনে ডাল ভাত খাওয়াই আনেক তৃপ্তি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত