বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা এমন একটি দেশ চাই—যেখানে কোনো শোষণ, জুলুম ও মানুষে মানুষে কোনো বৈষম্য থাকবে না; দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবো না এবং সবার অধিকার থাকবে সমান।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় ময়মনসিংহ নগরীর সার্কিট হাউস মাঠে জেলা ও মহানগর জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি, সংসদ দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মূল কর্তৃত্ব থাকবে নিম্নকক্ষের হাতে। এটি হবে বর্তমান পদ্ধতিতে, আর উচ্চকক্ষ হবে পিআর পদ্ধতিতে। উচ্চকক্ষ যদি পিআর পদ্ধতিতে হয় তাহলে নিম্নকক্ষ কেন হতে পারবে না? একই দেশে দুই পদ্ধতির প্রয়োজন কী? পৃথিবীর ৬২টি দেশ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন করে। ইউরোপের ২৬টি দেশের মধ্যে ১৬টি দেশ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন করে। এই সুফল যদি তারা যুগ যুগ ধরে পেয়ে থাকে তাহলে আমরা এ সুবিধা থেকে জাতিকে বঞ্চিত করার কে। এটা যারা মানবেন না, মনে করতে হবে—তারা হলো বিচার মানি কিন্তু তালগাছটা আমার।
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, নারী অধিকার সংস্কারের নামে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট জমা হয়েছে। সেই রিপোর্টের বেশ কিছু জায়গায় কোরআন ও সুন্নার সম্পূর্ণ খেলাপ কিছু সুপারিশ জমা হয়েছে। কিন্তু যারা এই সুপারিশ পেশ করেছেন, তারা এদেশের সাড়ে ৯ কোটি মায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন না। তারা যে জায়গায় সমাজকে নিতে চান, সেটা হতে দেওয়া হবে না। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশে ফিরলেই এটি বাতিলের জন্য আহ্বান জানানো হবে।
মহানগর জামায়াতের আমির মাওলানা কামরুল আহসান এমরুলের সভাপতিত্বে ও মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ কায়সার এবং জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মোজাম্মেল হক আকন্দের যৌথ সঞ্চালনায় কর্মী সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন— কেন্দ্রীয় নির্বাহী মিডিয়া ও প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির আসাদুজ্জামান সোহেল, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ কামরুল হাসান মিলন, কিশোরগঞ্জ জেলা আমির অধ্যাপক রমজান আলী, নেত্রকোনা জেলা আমির অধ্যাপক সাদেক আহমেদ হারিছ, জামালপুর জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আবদুল আওয়াল, ছাত্রশিবির সাবেক সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, ময়মনসিংহ মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আল হেলাল তালুকদার প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ