অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন মন্ত্রী। কিন্তু তার এমআরআই করাতে গিয়ে এমন বিপত্তি সম্মুখীন হতে হল যে, যে সাত কোটি টাকার এমআরআই যন্ত্রটিই খারাপ হয়ে গেছে। যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন সেই হাসপাতালের কয়েকশো রোগী। এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভারতের উত্তর প্রদেশের খাদি এবং গ্রামোদ্যোগ মন্ত্রী সত্যদেব পাচৌরি। তবে এই বিপত্তির জন্য ওই মন্ত্রী নন, দায়ী তার নিরাপত্তারক্ষী।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় জ্ঞ্যান হারিয়ে ফেলেন উত্তর প্রদেশের খাদি এবং গ্রামোদ্যোগ মন্ত্রী সত্যদেব পাচৌরি। দ্রুত তাকে রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দেখা যায়, মন্ত্রীর রক্তচাপ এবং ব্লাড সুগার, দুই টাই নেমে গিয়েছে। চিকিৎসকরা মন্ত্রীকে এমআরআই করানোর পরামর্শ দেন।
যে ঘরে এমআরআই করা হয়, সেখানে নিয়ম মতো ধাতব জিনিস নিয়ে প্রবেশ করা নিষেধ। কিন্তু মন্ত্রীর দেহরক্ষী কোনওভাবে সেই নিষেধাজ্ঞা খেয়াল করেননি। এরপরেই বাধে বিপত্তি। মন্ত্রীকে এমআরআই নির্দিষ্ট জায়গায় শুইয়ে এমআরআই যন্ত্রটি চালু করতেই ম্যাগনেটিক ফিল্ড চালু হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রীর দেহরক্ষীর কাছে থাকা পিস্তলটি গিয়ে এমআরআই মেশিনে আটকে যায়। বিকট আওয়াজ করে বন্ধ হয়ে যায় এমআরআই যন্ত্র। ঘাবড়ে গিয়ে ঘর থেকে হুড়মুড়িয়ে বেরিয়ে আসেন মন্ত্রী। ভয় পেয়ে যান চিকিৎসকরাও।এই বিপত্তির কারণে আপাতত সাত কোটির যন্ত্রটি খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। জানা গেছে, যন্ত্র থেকে এখন ওই পিস্তলটি বের করতে হলে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে। সময় লাগবে প্রায় সাতদিন। প্রতিদিন ওই হাসপাতালে এমআরআই করতে গড়ে তিরিশজন রোগী আসেন। কিন্তু মন্ত্রীর দেহরক্ষীর কীর্তিতে আপাতত হয়রানির শিকার তারা।
সূত্রঃ ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এবেলা।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩ জুন, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১২