জন এবং মেলোডি হেনেসি তাদের বাকি জীবন সমুদ্রে কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন। চিন্তাধারাটি রঙিন হলেও বেশ ব্যয়বহুল। ফ্লোরিডার এই দম্পতি তিন বছর আগে তাদের মূল ব্যবসা এবং তাদের বাড়িসহ তাদের মালিকানাধীন প্রায় সবকিছু বিক্রি করে দেন।
নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ওই দম্পতি তিন বছর আগে তাদের সব সম্পদ বিক্রি করে দিয়ে তাদের এ বিশ্ব ভ্রমণ শুরু করেন। মেলোডি হেনেসি ও জন দম্পতি জানান, 'ডাঙ্গায় বাস করার চেয়ে সমুদ্র ভ্রমণ অনেক সাশ্রয়ী ও আনন্দদায়ক। এ উদ্দেশ্যে ২০২০ সালে আমাদের বাড়ি, ব্যবসা এবং প্রায় সম্পদ বিক্রি করে বিশ্ব ভ্রমণে নেমেছি'।
এ দম্পতি শুরুতে একটি গাড়ি ক্রয় করে ভ্রমণ শুরু করেন। কিন্তু কিছুদিন যেতেই তারা বুঝতে পারেন গাড়ী দিয়ে স্থল পথে ভ্রমণ বেশ ক্লান্তিদায়ক। তাই ধীরে ধীরে ভাবতে থাকেন অন্য কোন বিকল্প পথ। এর মধ্যেই একদিন তাদের চোখে পরে একটি রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ক্রুজের ৯ মাস ভ্রমণের একটি ফেসবুক বিজ্ঞাপন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত এ দম্পতি অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের বিভিন্ন অংশে ভ্রমণ করেছেন। তারা এখন আছেন ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের চারপাশে।নিউইয়র্ক পোস্টের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে মেলোডি হেনেসি জানান, আমাদের আগের ল্যন্ডলক জীবনের চেয়ে এখনকার মুক্ত সমুদ্রের জীবন অনেক কম খরুচে আর আনন্দদায়ক। কিছু টেলিফোন বিল, একটি শিপিং বিল এবং কিছু ক্রেডিট কার্ডের বিল ছাড়া আর তেমন কোন খরচ নেই আমাদের। নেই কোন বন্ধকির খরচ, গাড়ির বীমা, সম্পত্তির বীমা, বা ইউটিলিটি বিল। আমাদের খরচ এতটাই কমে গিয়েছে, যা ভূমিতে আমাদের বাৎসরিক খরচের প্রায় অর্ধেক'।
হেনেসি জানান, আগে তাদের বাৎসরিক খরচ হতো প্রায় ৫৪ হাজার মার্কিন ডলার যা এখন অর্ধেক কমে প্রায় ২৭ হাজার ডলারে নেমে এসেছে।
ভ্রমণের ক্ষেত্রে নানান অদ্ভুত সব কাণ্ড করেন এ দম্পতি। যেমন কোন একটি জাহাজে ভ্রমণের ক্ষেত্রে জাহাজের একটি পুরো কেবিন কিনে নিজেদের মত করে সাজিয়ে নেন। একদম নিজেদের ঘরের মত করে। ফলে একদিকে পাওয়া যায় ঘরোয়া আবহ অপরদিকে উন্মুক্ত সমুদ্রের স্বাদ।
ওই দম্পতি জানান, সম্প্রতি তারা ভিলা ভেই নামক ক্রুজ শিপে ১৫ বছরের জন্য একটি কেবিন কিনবেন। ওই ক্রুজের প্রধান নির্বাহী জানান, তাদের জাহাজের প্রায় ৩০ শতাংশ কেবিন এমন দীর্ঘ সময়ের জন্য অনেক পর্যটক কিনে নিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক