২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৩:৫৯

৩৭৩৫ কোটি টাকার লটারি জিতে পাননি অর্থ, মামলা

অনলাইন ডেস্ক

৩৭৩৫ কোটি টাকার লটারি জিতে পাননি অর্থ, মামলা

লটারি বিজয়ী দাবিদার জন চিকস। ছবি: সংগৃহীত

ঘটনাটি আমেরিকার। দেশটির ওয়াশিংটন ডিসির জন চিকস নামে এক ব্যক্তি নিজেকে ৩৪ কোটি ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৭৩৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা) লটারি বিজয়ী বলে দাবি করেছেন। কিন্তু লটারি কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘ভুল করে’ বিজয়ীর তালিকায় তার লটারি নম্বর প্রকাশ হয়েছে। 

কিন্তু জন চিকস ছাড়ার বান্দা নন। তিনি এ জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

২০২৩ সালের ৬ জানুয়ারি তিনি পাওয়ারবল অ্যান্ড দ্য ডিসি লটারির একটি টিকেট কিনেছিলেন। এই জ্যাকপট লড়াটির ড্রয়ের দিন তিনি ছিলেন অনুপস্থিত। এরপর লটারিজয়ীদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। সেখানে নিজের লটারির নম্বর দেখে তিনি আত্মহারা হয়ে পড়েন।

যোগাযোগ করেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। কিন্তু তাকে বলা হয়, তার নাম্বারটি ভুল করে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু তা মানতে নারাজ জন চিকস। 

এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, তাদের কথা শুনে আমি একটু বিস্মিত হয়েছি। চিৎকার করিনি। আর্তনাদ করিনি। সঙ্গে সঙ্গে আমি এক বন্ধুকে ফোন করি। তার মাধ্যমে আমি ওয়েবসাইট থেকে ছবি ধারণ করি। তারপর ঘুমাতে যাই।

আদালতে তিনি যে ডকুমেন্ট জমা দিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, তার জ্যাকপট দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন লটারি কর্তৃপক্ষ। তারা তাকে একটি চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা করেছে। বলেছে, তার পুরস্কার দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। কারণ, ওএলজির গেমিং সিন্টেম ব্যবহার করে নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে তার টিকিটে। তার ভাষায়, একজন এজেন্ট আমাকে বলেছেন- আমার টিকেট মোটেও ভাল না। এটাকে বিনের ভিতর ছুড়ে ফেলতে বলেন তিনি। আমি তার দিকে কঠোর দৃষ্টিতে তাকিয়ে জানতে চাইলাম- বিনের ভিতরে? তিনি জবাবে বললেন, হ্যাঁ, ওটা ছুড়ে ফেলুন। আপনি এই টিকিটে অর্থ পাবেন না। তাই এটাকে বিনের ভিতরে ছুড়ে ফেলাই উচিত। 

এ অবস্থায় জন চিকস তার টিকেট ছিড়ে বা ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন না। উল্টো তা একটি নিরাপদ ডিপোজিট বক্সে রেখে দিলেন। পাওয়ারবলের বিরুদ্ধে মামলা করতে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বললেন। তিনি যে মামলা করেছেন তাতে নাম উল্লেখ আছে মাল্টি-স্টেট লটারি অ্যাসোসিয়েশন এবং গেম কন্ট্রাক্টর টাওটি এন্টারপ্রাইজের। ওই লটারিতে তিনি যে অর্থ পেতেন তার ওপর প্রতিদিন হিসেবে তিনি সুদ দাবি করেছেন। সব মিলে তার এই অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৪ কোটি ডলার। 

মামলায় তিনি লটারি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আটটি অভিযোগ এনেছেন। তার মধ্যে রয়েছে- চুক্তি ভঙ্গ, উপেক্ষা করা, মানসিক হতাশায় ফেলা এবং প্রতারণা। তার আইনজীবী রিচার্ড ইভান্স বলেন, যেহেতু বিজয়ী নাম্বারের সঙ্গে জন চিকসের নাম্বার মিলে গেছে, তাই পুরো জ্যাকপট পুরস্কার পাওয়া উচিত তার। সূত্র: বিবিসি, নিউ ইয়র্ক পোস্ট, দ্য গার্ডিয়ান

বিডি প্রতিদিন/আজাদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর