২৪ মার্চ, ২০২৪ ১৪:০৩

চুইংগাম থেকে নেওয়া ডিএনএ টেস্টে ৪১ বছর পর হত্যা মামলার আসামি ধরা

অনলাইন ডেস্ক

চুইংগাম থেকে নেওয়া ডিএনএ টেস্টে ৪১ বছর পর হত্যা মামলার আসামি ধরা

রবার্ট প্লিমপ্টন। ছবি: সিএনএন

চিবিয়ে ফেলে দেওয়া চুইংগামের সূত্র ধরে হত্যাকাণ্ডের ৪১ বছর পর ধরা পড়েছে অপরাধী। বিচারে তার অপরাধের প্রমাণও মিলেছে।

তার নাম রবার্ট প্লিমপ্টন (৬০)। যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন অঙ্গরাজ্যে ১৯৮০ সালে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে হত্যার ঘটনায় গত সপ্তাহে তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।

১৯৮০ সালের ১৫ জানুয়ারি ১৯ বছর বয়সী ওই কলেজ শিক্ষার্থী অপহরণের শিকার হন। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে অরেগনের গ্রেশাম শহরের একটি কলেজের পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

কিন্তু এ ঘটনায় একের পর এক অভিযান চালিয়েও আসল অপরাধীর হদিস পাচ্ছিল না পুলিশ।

লাশের ময়নাতদন্তের সময় তার দেহ থেকে সংগৃহীত নমুনা ও পুলিশের দেওয়া সন্দেহভাজন কয়েকজন অপরাধীর নমুনা দিয়ে চিকিৎসকরা একটি ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করেন। এসব ডিএনএ পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা পুলিশকে জানান, যিনি ধর্ষণ ও হত্যা করেছেন, তার মাথার চুল লালরঙা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি।

চিকিৎসকদের কাছ থেকে পাওয়া প্রাথমিক এই সূত্র ধরেই সন্দেহভাজন অপরাধীকে খুঁজতে শুরু করে পুলিশ। একপর্যায়ে ২০২১ সালের মার্চে পুলিশ রবার্টের সন্ধান পান। তখন থেকেই তার গতিবিধি নজরে রাখা শুরু হয়। এরপর একদিন গোয়েন্দা সদস্যরা রবার্টের চিবিয়ে ফেলে দেওয়া একটি চুইংগাম সংগ্রহ করতে সক্ষম হন।

পরে চিকিৎসকরা সেই চুইংগাম থেকে সংগৃহীত নমুনার সঙ্গে ওই কলেজ শিক্ষার্থীর দেহ থেকে সংগৃহীত নমুনাগুলোর পরীক্ষা করেন। এতে নমুনা মিলে যাওয়ায় ২০২১ সালের ৮ জুন রবার্টকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ ঘটনায় রবার্টকে গত সপ্তাহে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।

তবে রবার্ট নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তার আইনজীবী স্টিফেন হোজ ও জ্যাকব হোজ জানিয়েছেন, তারা এ বিষয়ে আপিল করবেন।

সূত্র : সিএনএন

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর