৬ মে, ২০২৪ ১১:৫৪

উদ্ভট চাকরির ভাইভার গল্প

অনলাইন ডেস্ক

উদ্ভট চাকরির ভাইভার গল্প

যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টলে একজন আইনজীবীর অফিসে চাকরির জন্য সাক্ষাৎকার ছিল লাইয়ের। সময়মতোই ওই অফিসে পৌঁছান তিনি। কিন্তু ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ওই সাক্ষাৎকার বাতিল করা হয়। লাইকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য আবারও পরের দিন অফিসে যেতে বলা হয়েছিল।

কাগজপত্র নিয়ে ওই দিন ফিরে গিয়েছিলেন লাই। কিন্তু পরে ওই অফিস থেকে তার মুঠোফোনে একটি বার্তা পাঠানো হয়। ওই বার্তায় বলা হয়, সাক্ষাৎকার ‘বাতিল’ ঘোষণা পরীক্ষারই একটি অংশ ছিল। এই পরীক্ষায় তিনি ফেল করেছেন। এ কারণে তাকে চাকরিটা দেওয়া যাচ্ছে না। এই বার্তা পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন লাই।

লাই তার চাকরির সাক্ষাৎকারের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, এই অভিজ্ঞতাটা ‘পুরো উদ্ভট’ ছিল। আর এ কারণেই তিনি চাকরি ছেড়ে নিজের ব্যবসা শুরু করেন।

চাকরির সাক্ষাৎকারের এমন অভিজ্ঞতা লাইয়ের একার নয়; আরও অনেকেই এমন অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যান। নিয়োগ সংস্থা হেইসের তথ্য বলছে, নতুন চাকরির জন্য সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়া চলাকালীন অর্ধেকের বেশি মানুষের এমন নেতিবাচক অভিজ্ঞতা হয়েছে।

বিবিসি কয়েক ডজন মানুষের কাছে এমন গল্প শুনেছে—যারা অদ্ভুত, আপত্তিকর এবং অপ্রস্তুত সাক্ষাত্কারের মধ্য দিয়ে গেছেন।

লাইয়ের মতো এইজিন ফুও এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যূনতম মজুরিতে স্টুডেন্ট অ্যাম্বাসেডর পদে চাকরির অবেদন করে উদ্ভট অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তিনি। সাক্ষাত্কারের সময় সব প্রার্থীকে হাত ও হাঁটু মাটিতে ফেলে চারপাশে হামাগুড়ি দিতে বলা হয়েছিল। পাশাপাশি তাদের গরুর মতো শব্দ করতেও বলা হয়েছিল।

এইজিন ফুও বলেন, ‘তিন থেকে চার মিনিট আমাদের এমন করতে হয়েছিল। এতে আমি খুব বিরক্ত হয়েছিলাম। এটি করতে বলা একদম ঠিক ছিল না। কিন্তু অন্যরা সবাই করছিল, এ কারণে আমার ক্ষেত্রে তা করার একটা চাপ ছিল।’

সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীরা বলেছেন, প্রার্থীরা সবাই ‘মজার’ কি না, তা দেখতেই এটা করতে বলা হয়েছিল। তবে এইজিন বলছেন, সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীরা হয়তো নিজেদের ক্ষমতার এভাবেই প্রয়োগ করেছেন।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর