২১ জুন, ২০২৪ ০৯:৫৮

হিটস্ট্রোক চিকিৎসায় বরফ পানির সিরামিক টাব!

অনলাইন ডেস্ক

হিটস্ট্রোক চিকিৎসায় বরফ পানির সিরামিক টাব!

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে দেশটিতে ১ মার্চ থেকে ২০ মে পর্যন্ত অন্তত ৫৬ জন হিট স্ট্রোকে মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়া প্রায় ২৪ হাজার ৮৪৯টি হিট স্ট্রোকের ঘটনা ঘটেছে।

সংকট মোকাবেলায় দিল্লিতে অজয় চৌহানের আরএমএলএইচ হাসপাতালে গত মে মাসের শেষের দিকে প্রথমবারের মতো একটি হিট স্ট্রোক ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। এই ক্লিনিকে হিটস্ট্রোকে এখন পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও অন্তত ৪০ জনের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আরএমএলএইচের বিশেষায়িত হিট স্ট্রোক ক্লিনিকে ডাক্তাররারা আক্রান্ত রোগীদের বাঁচাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। সম্প্রতি, ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৭.৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট) শরীরের তাপমাত্রা নিয়ে একজন রোগী আসেন, তিনি হিট স্ট্রোকে ভুগছিলেন। 

এই উচ্চ তাপমাত্রায়, শরীর নিস্তেজ হতে শুরু করে, কোষগুলো ভেঙে যায় এবং অঙ্গ ব্যর্থতার ঝুঁকি থাকে। শরীর ঘাম বন্ধ করে দেয় এবং ত্বক ঠাণ্ডা এবং ক্ল্যামি হয়ে যায়।

 শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যাওয়ার ফলে ডিহাইড্রেশন সৃষ্টি হয়। ঘামের সঙ্গে লবণ বেরিয়ে যাওয়াতে লবণের ঘাটতি দেখা দেয়, যা শরীরকে অবসন্ন ও পরিশ্রান্ত করে তোলে।

এর ফলে অনেকের মাথাঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে মৃত্যুও হতে পারে।

ক্লিনিকে, ডাক্তাররা ওই রোগীকে ২৫০ লিটারের একটি সিরামিক টাবে বরফ পানিতে ডুবিয়ে রেখেছিলেন, যেখানে তাপমাত্রা শূন্য থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে থাকে। ক্লিনিকটিতে দুটি সিরামিক টাব, একটি ২০০ কেজি বরফ তৈরির মেশিন, রেকটাল থার্মোমিটার, আইস বক্স এবং ইনফ্ল্যাটেবল টব রয়েছে। আরও চিকিৎসার জন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত হওয়ার আগে ওই রোগীর শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ২৫ মিনিট সময় লেগেছিল। 

সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৯২ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তাপপ্রবাহে ভারতে ২৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যেহেতু ভারত মৃত্যুর তথ্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে না, তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হবে।


বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর