শিরোনাম
২৮ জুন, ২০২৪ ২২:০৬

কী আছে অনন্ত-রাধিকার বিয়ের নিমন্ত্রণ বাক্সে?

অনলাইন ডেস্ক

কী আছে অনন্ত-রাধিকার বিয়ের নিমন্ত্রণ বাক্সে?

মুকেশ-নীতা আম্বানি দম্পতির ছোট পুত্র অনন্ত আম্বানির বিয়ে নজর কেড়েছিল আগেই। প্রথম প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানেই ঝড় তুলেছিল আম্বানি পরিবার।

শিল্পপতি বীরেন মার্চেন্টের মেয়ে রাধিকার সাথে গাঁটছড়া বাঁধছেন অনন্ত। বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রও অতিথিদের কাছে পৌঁছাতে শুরু করেছে।

সোনালি রঙের বাক্স পাঠিয়ে জানানো হচ্ছে নিমন্ত্রণ। এই বাক্সের ভেতরে আছে কমলা রঙের আরেকটি বাক্স। এর ওপরে ছিল ভগবান বিষ্ণুর ছবি। আর চারপাশে ছোট ছোট অক্ষরে বিষ্ণুর শ্লোক। 

বাক্সের ঢাকনাটির উল্টা পিঠে ছিল বৈকুণ্ঠের সূচিকর্ম। বৈকুণ্ঠ হলো ভগবান বিষ্ণু ও দেবী লক্ষ্মীর বাসস্থান। আর বাক্স খুললেই বাজতে থাকে বিষ্ণুমন্ত্র।

এই বাক্সের ভেতরে আরও ছিল সোনালি রঙের বই। সেই বইয়ের ভেতরে ছিল মূল নিমন্ত্রণপত্র। খুলতেই ওপরে ছিল বিষ্ণুর ছবি। বইয়ের পাতা উল্টালে ছিল ভগবান গণেশের ছবির ফ্রেম, তার পাশে লাল রঙের ভেলভেটের ওপর অনন্ত-রাধিকার বিয়ের তারিখ ও ভেন্যু লেখা।

এর পরের পৃষ্ঠায় ছিল রাধা-কৃষ্ণের ছবি। পাশে সুন্দর নকশা করে লেখা ‘নিমন্ত্রণপত্র’। সেখানে একটি ফিতা ছিল, যা টান দিতেই উঠে যায় নিমন্ত্রণপত্রের পর্দা। ভেতর থেকে বের হয় অফ হোয়াইট রঙের একটি খাম, তার ভেতর থেকে বের হয় চিরকুট। সেটিই ছিল আম্বানি পরিবার থেকে দেওয়া হাতে লেখা নিমন্ত্রণপত্র।পরের পাতায় ভগবান বিষ্ণুকে মাতা লক্ষ্মীর সঙ্গে পদ্মাসনে বসে থাকতে দেখা যায়। তার পরের দুটি পাতায় আসে যথাক্রমে মা অম্বের ছবির ফ্রেম ও শ্রীনাথের ছবি। আর বইয়ের শেষের কভার পৃষ্ঠায় ঋগ্‌বেদের মন্ত্র।

ওই বাক্সে ছিল আরেকটি কমলা রঙের ছোট বাক্স। এটি খুলতেই মনে হবে, কোনো মন্দিরে একসঙ্গে পাশাপাশি চারজন দেব-দেবী দাঁড়িয়ে আছেন। সেগুলো ছিল রুপালি রঙের ফ্রেমে মোড়ানো। মূল বাক্সে আরও ছিল একটি কাপড়ের ব্যাগ। এর ভেতরে ছিল কাশ্মীরি পশমিনা চাদর।

২৯ জুন আম্বানির মুম্বাইয়ের বাসভবনে পূজার মধ্য দিয়ে অন্তত ও রাধিকার বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ১২ জুলাই চার হাত এক হবে মুম্বাইয়ের জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে। বিয়ের অনুষ্ঠানটি চলবে তিন দিন ধরে। 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর