২৪ জুলাই, ২০২৪ ১৪:৫৪

প্রথমবারের মতো টাইটানিকের ত্রিমাত্রিক মানচিত্র তৈরি হবে

অনলাইন ডেস্ক

 প্রথমবারের মতো টাইটানিকের ত্রিমাত্রিক মানচিত্র তৈরি হবে

১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল মধ্যরাতে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায় বিখ্যাত টাইটানিক জাহাজ। শত বছরেরও বেশি সময় ধরে জাহাজটি আটলান্টিক মহাসাগরের নিচে ডুবে আছে। বিজ্ঞানীরা টাইটানিকের রহস্য উদ্ঘাটনে উদ্গ্রীব। আর তাই এবার ধ্বংসাবশেষের বিস্তারিত ফটোগ্রাফিক রেকর্ড সংগ্রহ করে একটি ত্রিমাত্রিক মডেল তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

১৯৮৫ সালে টাইটানিকের ডুবে যাওয়ার স্থান আবিষ্কৃত হয়। কিন্তু ধ্বংসাবশেষের কোনো মানচিত্র তৈরি করা হয়নি। সর্বশেষ ২০১০ সালে টাইটানিকের ধ্বংসস্থলের একটি ‘সনার’ মানচিত্র তৈরি করা হয়েছিল।

এবার নতুন উদ্যোগের আওতায় টাইটানিকের আশপাশের ধ্বংসাবশেষের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে দুটি রিমোট চালিত যান ব্যবহার করে। এই যানগুলোতে হাইডেফিনেশন অপটিক্যাল ক্যামেরা এবং বিশেষ ধরনের লাইট লাগানো থাকবে, যা পানির নিচে থাকা বিভিন্ন বস্তুর বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম।

অভিযানের ইমেজিং প্রোগ্রামের প্রধান ইভান কোভাকস জানিয়েছেন, ক্যামেরা সিস্টেমের মাধ্যমে মিলিমিটার মাত্রার রেজল্যুশনের ছবিও তৈরি করা যাবে। আবহাওয়া, কম্পিউটার, রোবট এবং ক্যামেরা সব ঠিকঠাক কাজ করলে আমরা টাইটানিকসহ ধ্বংসাবশেষের সর্বোচ্চ মাত্রার ডিজিটাল ছবি সংগ্রহ করতে পারব। আক্ষরিক অর্থে বালুর দানাও গণনা করতে পারব আমরা। রোবট যানের ম্যাগনেটোমিটার প্রথমবারের মতো টাইটানিকের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে, যা ধাতব পদার্থ শনাক্ত করতে পারবে।

টাইটানিক আটলান্টিক মহাসাগরের প্রায় সাড়ে ১২ হাজার ফুট নিচে অবস্থান করছে, ফলে এর কাছে পৌঁছানো সহজ নয়। গত বছর টাইটানিক দেখতে গিয়ে পাঁচজন অভিযাত্রী মারা যান, যা ওশান গেট দুর্ঘটনা নামে পরিচিত। সেই দুর্ঘটনার পর টাইটানিকের রহস্য জানার এটি প্রথম বাণিজ্যিক মিশন। এই অভিযান পরিচালনা করছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান আরএমএস টাইটানিক ইনকর্পোরেটেড। প্রতিষ্ঠানটি টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের আশপাশে থাকা বিভিন্ন উপাদান সংগ্রহ করেছে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর