১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০৭

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে ভয়ের চেয়ে সম্ভাবনা খোঁজার আহ্বান গেটসের

অনলাইন ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে ভয়ের চেয়ে সম্ভাবনা খোঁজার আহ্বান গেটসের

বিলিয়নিয়ার ও মানবহিতৈষী বিল গেটস দীর্ঘদিন ধরে জলবায়ু পরিবর্তন, সাইবার হামলা এবং নানা বৈশ্বিক সংকট নিয়ে মানুষকে সচেতন করে আসছেন। তবে তার সবচেয়ে বড় দুটো উদ্বেগ—একটি হলো মহামারি এবং আরেকটি হলো যুদ্ধ। সম্প্রতি সিএনবিসির মেক ইট অনুষ্ঠানে গেটস উল্লেখ করেছেন, বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতার কারণে বিশ্ব এক বড় যুদ্ধের দিকে এগোতে পারে। এমনকি যদি বড় ধরনের সংঘাত এড়ানোও যায়, তবে মানবজাতি আগামী ২৫ বছরের মধ্যে আরেকটি মহামারির মুখোমুখি হবে।

করোনা মহামারির অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিল গেটসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভবিষ্যতে বিশ্বের দেশগুলো মহামারি মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত থাকবে। গেটসের মতে, যদিও কিছু দেশ করোনার বিরুদ্ধে ভালো প্রতিরোধ গড়েছে, তবুও যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশের প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশার চেয়ে অনেকটাই কম ছিল। বিশেষ করে এমন দেশ, যাকে মহামারি মোকাবিলায় নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল। 

২০২২ সালে প্রকাশিত তার বই ‘হাউ টু প্রিভেন্ট দ্য নেক্সট প্যান্ডেমিক’-এ তিনি বিভিন্ন দেশের সরকারকে কঠোর সমালোচনা করেছেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, মহামারির প্রস্তুতি নিয়ে তারা যেভাবে ব্যর্থ হয়েছে, তা ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি হতে পারে। গেটস বইটিতে মহামারি প্রতিরোধে কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থাপনা, রোগ পর্যবেক্ষণ ও ভ্যাকসিন গবেষণায় বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছেন।

করোনা মহামারি থেকে নেওয়া শিক্ষা প্রসঙ্গে গেটস বলেন, আমরা কিছু শিক্ষা নিয়েছি, তবে তা আশানুরূপ নয়। মহামারির প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের আরও ভালোভাবে আত্মসমালোচনা করা উচিত ছিল। আশা করি, আগামী পাঁচ বছরে পরিস্থিতি উন্নত হবে, তবে এখন পর্যন্ত যেটা দেখেছি তা বেশ হতাশাজনক।

এদিকে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্রুত উত্থান নিয়েও কথা বলেছেন গেটস। তিনি মনে করেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের জীবনকে ব্যাপকভাবে রূপান্তরিত করবে। যদিও অনেকেই এর বিপদ নিয়ে উদ্বিগ্ন, গেটস বরং এর সুযোগগুলোকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন। 

তার এই মন্তব্য আসে এমন এক সময়ে, যখন আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রসার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি সতর্ক করেছেন, এটি উন্নত দেশগুলোতে ৬০ শতাংশ চাকরি এবং বিশ্বব্যাপী ৪০ শতাংশ চাকরি সরাসরি প্রভাবিত করবে। তবে গেটসের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভয় পাওয়ার পরিবর্তে এর মাধ্যমে নতুন দিগন্ত খোঁজা উচিত, কারণ এটি ভবিষ্যতে মানুষের জন্য নতুন সুযোগের দ্বার উন্মোচন করবে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর