বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা
সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার চূড়ান্ত অনুমোদন

পাঁচ বছরে হবে ১ কোটি ২৯ লাখ লোকের কর্মসংস্থান

গোলাম রাব্বানী

পাঁচ বছরে হবে ১ কোটি ২৯ লাখ লোকের কর্মসংস্থান

সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আগামী পাঁচ বছর গড়ে ৭ দশমিক ৪ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া দারিদ্র্যের হার ২৪ দশমিক ৮ ভাগ থেকে কমিয়ে ১৮ দশমিক ৬ ভাগে আনা হবে। রপ্তানি আয় ৩০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ৫৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রতিপাদ্য হলো ‘প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ, নাগরিকের ক্ষমতায়ন।’

অন্যদিকে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৩ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হবে। পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ, ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, ৮৫৬ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে।  গতকাল এ পরিকল্পনার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সকালে পরিকল্পনা কমিশনের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত এ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন কাল ধরা হচ্ছে। গেল জুন মাসে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মেয়াদ শেষ হয়।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরকে ভিত্তি করে এবারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ৩১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রাক্কলন করা হয়েছে। এতে এক কোটি ২৯ লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। মোট বিনিয়োগের ৭৭ দশমিক তিন ভাগ আসবে বেসরকারি খাত থেকে, আর বাকি ২২ দশমিক সাত ভাগ সরকারি খাত থেকে আসবে বলে এ সময় জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। এনইসি সভায় বলা হয়, সামাজিক সুরক্ষা খাতে ব্যয় জিডিপির দুই দশমিক শূন্য দুই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০২০ সালে জিডিপির দুই দশমিক ৩০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। একই সঙ্গে এবারের পাঁচ বছরে এক কোটি ২৯ লাখ কর্মসংস্থান হবে। ‘মোট বিনিয়োগের ৯০ দশমিক চার শতাংশ অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে আহরণ করা হবে। বাকি ৯ দশমিক ৬ শতাংশ বৈদেশিক উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে। মোট বিনিয়োগ বর্তমান জিডিপির ২৮ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে ২০২০ সালে জিডিপির ৩৪ দশমিক চার শতাংশে উন্নীত করা হবে। একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতি ২০২০ সালে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে কমিয়ে আনা হবে। এ জন্য ২০২০ সাল নাগাদ রাজস্ব ও জিডিপির অনুপাত বর্তমানের ১০ দশমিক ৮ ভাগ থেকে বাড়িয়ে ১৬ দশমিক এক ভাগে উন্নীত করা হবে।

এ লক্ষ্য অর্জনে মোট ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ২৮ লাখ ৪৫ হাজার ১০০ কোটি এবং বিদেশি উৎস থেকে ৩ লাখ ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারিভাবে ৭ লাখ ২৫ হাজার ২০০ কোটি এবং বেসরকারি খাতে ২৪ লাখ ৬৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ২০২০ সালে জনসংখ্যার ২০ ভাগ উচ্চশিক্ষিত হবে। নির্মাণ করা হবে ৮৫৬ কিলোমিটার নতুন রেলপথ।

সর্বশেষ খবর