শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ করদাতাদের খোঁজে এনবিআর

রুহুল আমিন রাসেল

রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ করদাতাদের খোঁজে এনবিআর

চলতি ২০১৫-২০১৬ করবর্ষে গত ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ই-টিআইএন (করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর) গ্রহণকারী যেসব ব্যক্তি-শ্রেণির করদাতা আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হয়েছেন, তাদের খোঁজে মাঠে নেমেছে এনবিআর। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা রিটার্ন জমা করেননি তাদের জরিমানা করবে কর প্রশাসন। এনবিআরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এখনো প্রায় ৭ লাখ টিআইএনধারী করদাতা তাদের রিটার্ন দাখিল করেননি। জানা গেছে নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন দাখিল না করায় সর্বশেষ নিরূপিত আয়ের ১০ শতাংশ বা কমপক্ষে ১ হাজার টাকা এককালীন জরিমানা করা হবে। এরপরও রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হলে প্রতিদিন ৫০ টাকা হারে জরিমানার বিধান রয়েছে। তবে পুরনো করদাতাদের ক্ষেত্রে নিরূপিত আয়ের ৫০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সূত্র জানায়, রিটার্ন দাখিলের বর্ধিত সময় গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৯৪ জন করদাতা রিটার্ন জমা দিয়েছেন। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ শতাংশ কম। একই সময়ে ৭ লাখ ৬ হাজার ৬৮৮ জন ই-টিআইএনধারী রিটার্ন জমা দেননি। তবে রিটার্ন দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট উপ-কর কমিশনারের কাছে সময় চেয়ে আবেদন করেছেন ২ লাখ ৭৩ হাজার ১৩৮ জন করদাতা। সব মিলিয়ে চলতি করবর্ষে রিটার্ন দাখিল হতে পারে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৩২টি। যদিও দেশে এখন ই-টিআইএনধারীর সংখ্যা ১৭ লাখ ৯৮ হাজার ৭০ জন। ফলে তথ্য-বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এখনো ৭ লাখ ৬ হাজার ৬৮৮ জন করদাতার ই-টিআইএন থাকলেও রিটার্ন দাখিল এবং করার জন্য সময় চেয়ে আবেদনও করেননি। এ প্রসঙ্গে এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ) আবদুর রাজ্জাক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আইন অনুযায়ী যেসব করদাতা রিটার্ন দাখিল এবং করার জন্য সময় চেয়ে আবেদনও করেননি, তাদের জরিমানা করা হবে। যারা আবেদন করেছেন, তারা যৌক্তিকভাবেই আÍপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে করদাতারা প্রথমে সংশ্লিষ্ট উপ-কর কমিশনার ও পরে যুগ্মকর কমিশনারের কাছে সময় চেয়ে রিটার্ন দাখিলের আবেদন করলে ২ মাস করে মোট ৪ মাস সময় পাবেন। তথ্যমতে, প্রতিবছর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থাকলেও অতীতের মতো এবারও সময় বাড়িয়েছে এনবিআর। রিটার্ন দাখিলের জন্য বাড়ানো ২ মাসের বর্ধিত সময় শেষ হয়েছে গত ৩০ নভেম্বর।

প্রসঙ্গত, বার্ষিক আয়ের ভিত্তিতে আদায়যোগ্য করের নাম আয়কর। নাগরিকের আয় ও সম্পদের ভিত্তিতে আদায়কৃত করই সরকারের রাজস্ব। সব করের দায়ভার দেশের নাগরিককেই বহন করতে হয়। এর বিপরীতে রয়েছে পরোক্ষ কর। এটা পণ্য ও সেবা উৎপাদন-বিক্রয়, আমদানি-রপ্তানি এবং অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর আরোপ করা হয়। প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে নাগরিক তার ওপর ধার্য করা সরাসরি কর সরকারি কোষাগারে জমা করেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই কর আদায়ের দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারের একমাত্র প্রতিষ্ঠান। আয়কর কর্তৃপক্ষের কাছে একজন করদাতার বার্ষিক আয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপস্থাপন করার মাধ্যম হচ্ছে আয়কর রিটার্ন। এই আয়কর রিটার্ন ফরমের কাঠামো আয়কর বিধি দ্বারা নির্দিষ্ট করা আছে।

সর্বশেষ খবর