বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের কর্মশালায় বাণিজ্যমন্ত্রী

দেশীয় শিল্পের স্বার্থ রক্ষা করে শুল্ক নির্ধারণ করা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশীয় শিল্পের স্বার্থ রক্ষা করে শুল্ক নির্ধারণ করা হচ্ছে

দেশীয় শিল্পের স্বার্থ রক্ষা করে শুল্ক নির্ধারণ করা হচ্ছে। কোনো শিল্পের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হতে পারে এমন সিদ্ধান্ত সরকার গ্রহণ করবে না

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশীয় শিল্পের স্বার্থ রক্ষা করে শুল্ক নির্ধারণ করা হচ্ছে। দেশীয় কোনো শিল্পের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হতে পারে এমন সিদ্ধান্ত সরকার গ্রহণ করবে না। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে দেশীয় শিল্পের স্বার্থ রক্ষার্থে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন আয়োজিত ‘এন্টি-ডাম্পিং, কাউন্টারভেইলিং এবং সেইফগার্ড মেজার্স’ সংক্রান্ত দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

বর্তমান সরকারকে ‘ব্যবসা বান্ধব’ অভিহিত করে মন্ত্রী আরও বলেন, বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থায় বাণিজ্য বাধা হ্রাস পাচ্ছে এবং শুল্ক হারও কমেছে। ফলে আমদানি শুল্ক আরোপের মাধ্যমে দেশীয় শিল্প সংরক্ষণের সুযোগ কমে যাচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির ফলে সৃষ্ট প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থা একদিকে যেমন রাষ্ট্রগুলোকে বিশ্ববাণিজ্যে টিকে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে, তেমনি অনেক সময় এ প্রতিযোগিতার কারণে স্বল্প বাণিজ্য ক্ষমতা সম্পন্ন দেশগুলোর দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিযোগিতার এসব ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেশীয় উৎপাদনকারীদের রক্ষা করার জন্য বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার বাণিজ্য প্রতিবিধান আইনের আওতায় এন্টি ডাম্পিং, কাউন্টারভেইলিং এবং সেইফগার্ড ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ডাব্লিউটিও সদস্যভুক্ত অনেক দেশ ৩ হাজার ৫৮টি এন্টি-ডাম্পিং, ২০২টি কাউন্টারভেইলিং এবং ১৪৭টি সেইফগার্ড মেজার্স আরোপ করেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের এ বিষয়ে একটি স্বচ্ছ ধারণা থাকা দরকার। দেশীয় শিল্পের জন্য বিদেশ হতে ডাম্পিং বা অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য আমদানির অভিযোগ যাতে মোকাবিলা করা যায়, সে সম্পর্কে স্থানীয় শিল্পের প্রস্তুতি থাকা একান্ত প্রয়োজন। সরকার দেশীয় শিল্প রক্ষায় প্রয়োজনীয় আইন ও বিধি-বিধান প্রণয়ন করেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশকে বিশ্ব দরবারে একটি মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একদিন শূন্য হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। আজ বিশ্বের বড় বড় অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও দ্রুত অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপে দেশের সিমেন্ট শিল্প, টিন শিল্প, কাগজ শিল্প বিকশিত হয়েছে। এসব শিল্প এখন দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করছে। এক সময় এগুলো আমদানির ওপর নির্ভর ছিল। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান এ টি এম মুর্তজা রেজা চৌধুরী।

সর্বশেষ খবর