বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চোখে

২০১৫ সালে যেমন ছিল ব্যাংকিং খাত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যাংকিং খাত অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী, স্থিতিশীল ও ঝুঁকিসহনে সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সংস্থাটির মতে ব্যাংকিং খাতের সূচকগুলো দিন দিনই শক্তিশালী হচ্ছে। গত ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫ সালের উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে ব্যাংকিং খাত সম্পর্কে এসব মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেমন ছিল ব্যাংকিং খাত : ব্যাংকিং খাত শক্তিশালী কিনা তার অন্যতম পরিমাপক হচ্ছে মূলধন পর্যাপ্ততা। ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যাপ্ততা সংক্রান্ত ‘ব্যাসেল-২’ নীতিমালার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের পর ২০১৫ সাল  থেকেই ‘ব্যাসেল-৩’ বাস্তবায়ন করার পথ-নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। এর আওতায় জুন ২০১৫ শেষে মূলধন পর্যাপ্ততার হার ছিল ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। সেপ্টেম্বর শেষে এ হার দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ৮ শতাংশের চেয়ে অনেক বেশি।

আমানত ও ঋণ : অক্টোবর ২০১৫ শেষে ব্যাংকিং খাতে আমানত ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৫ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা। অন্যদিকে, ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৭০ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। ঋণের প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৫ শতাংশ।

শ্রেণিকৃত ঋণ : ডিসেম্বর ২০১৪ ও মার্চ ২০১৫ শেষে শ্রেণিকৃত ঋণের হার ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ৬৯ ও ১০ দশমিক ৪৭ শতাংশ। জুন ২০১৫ শেষে শ্রেণিকৃত ঋণের হার  দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

সুদহারের স্প্রেড : আমানত ও ঋণের গড় সুদহার কমে অক্টোবর ২০১৫ শেষে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৬ দশমিক ৫৮ ও ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। আমানত ও ঋণের সুদহারের স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

সর্বশেষ খবর