বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা
বাজেটে ৫শ’ কোটি টাকা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত

ভিটে থাকলে বাড়ি দেবে সরকার

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

ভিটে থাকলে বাড়ি দেবে সরকার

‘নিজস্ব ভিটা আছে কিন্তু সন্তোষজনক গৃহ নেই’ এরূপ ২০ হাজার পরিবারকে গৃহায়ণ ঋণ কর্মসূচির আওতায় ঘর করে দেবে সরকার। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ১৫ মার্চ এই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সরকারের সংস্থাগুলোতে গতকাল পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহায়ণ তহবিলের ফান্ড ম্যানেজমেন্ট ইউনিট থেকে। সভার কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘সবার জন্য বাসস্থান’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এরই মধ্যে গৃহায়ণ ঋণ কার্যক্রমের আওতায় ৪৫৬টি গৃহ নির্মাণের জন্য প্রায় ৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে দুস্থ পরিবারগুলোর মধ্যে। এ ছাড়া আরও ৫৮৮টি গৃহ নির্মাণের জন্য প্রায় ৪ কোটি ১২ লাখ টাকা বিতরণ প্রক্রিয়াধীন আছে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ‘নিজস্ব ভিটা আছে কিন্তু সন্তোষজনক গৃহ নেই’ এরূপ পরিবারের নাম ঠিকানা সংবলিত তালিকা চাওয়া হয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাছে। ওই তালিকা পাওয়ার পর অভিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর গৃহ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এ ধরনের ২০ হাজার পরিবারকে গৃহনির্মাণ করে দেওয়ার কার্যক্রম গৃহায়ণ তহবিলের কার্যতালিকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। এদিকে দারিদ্র্যপীড়িত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে আবাসন সুবিধা দিতে গৃহায়ণ তহবিলে আরও ৫শ’ কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট থেকে এই অর্থ দেওয়া হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি লেখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, বর্তমানে গৃহায়ণ তহবিলে বিনিয়োগযোগ্য মোট অর্থের পরিমাণ হচ্ছে ২৭১ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এই অর্থ দিয়ে সারা দেশে দরিদ্র ও গৃহহীন মানুষের জন্য আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এ কারণেই স্টিয়ারিং কমিটি তহবিলে আরও ৫শ’ কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

চিঠির তথ্য থেকে জানা গেছে, গৃহায়ণ তহবিল স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে গত ফেব্রুয়ারিতে একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে গৃহায়ণ তহবিলের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আরও বেশি সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে আবাসন সুবিধার আওতায় আনতে তহবিল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরের বাজেটে প্রাথমিকভাবে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে দারিদ্র্যপীড়িত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে আবাসন সুবিধা দিতে গৃহায়ণ তহবিল গঠন করা হয়। তহবিল গঠনের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৬০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ছাড় করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ শেষে গৃহায়ণ তহবিলের স্থায়ী আমানত এবং স্বল্প মেয়াদি আমানত হিসেবে অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬৫ কোটি            ৫১ লাখ টাকা এবং ৬ কোটি ২০ লাখ টাকা।.

সর্বশেষ খবর