বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভায় টানা ১০ বছর পর নির্বাচনকে ঘিরে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা দলীয় সমর্থন ও মনোনয়ন পেতে শুরু করেছে দৌড়ঝাঁপ। সর্বশেষ ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি নির্বাচনে মেয়র পদে মো. জুলফিকার আলীসহ আটজন কাউন্সিলর ও ২টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে জয় পান বিএনপির প্রার্থীরা।

তবে একটি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ ও কাউন্সিলর পদে বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়। সীমানা জটিলতা নিয়ে মামলা থাকায় এতদিন নির্বাচন না হলেও এবার বিএনপির দুর্গ হিসেবে খ্যাত মোংলা পোর্ট পৌরসভা দখলে নিতে ভালোভাবেই মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২০ ডিসেম্বর মোংলা পোর্ট পৌরসভায় মনোনয়নপত্র দাখিল ও আগামী ১৬ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তাই এ নির্বাচনে অংশ নিতে সম্ভব্য প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পেতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যলয় থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করতে ভিড় করছেন সম্ভাব্য কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা।

বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম জানান, মোংলা হচ্ছে বিএনপির দুর্গ। পৌরসভায় দলীয় মনোনয়নে বিএনপিতে কোনো গ্রুপিং নেই। বর্তমান মেয়র মো. জুলফিকার আলীসহ নির্বাচিত আটজন কাউন্সিলর ও ২টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরকে বিএনপি থেকে এবারও দলীয় মনোনয়নের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাকি অন্য একটি কাউন্সিলর ও একটি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে দলীয় মনোনয়ন দুই একদিনের মধ্যে দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের পৌরসভার ৯টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৩টি সংরক্ষিত আসনের বিপরীতে অর্ধ-শতাধিক সম্ভাব্য কাউন্সিলর, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও চারজন মেয়র প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছেন। মেয়র পদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ চারজন প্রার্থীর নাম দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠিয়েছে।

মেয়র পদে এই চারজন প্রার্থী হচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী ইজারাদার, মোংলা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আব্দুর রহমান, মোংলা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান জসিম ও মোংলা উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন। এখন মেয়র পদে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের অপক্ষোয় রয়েছে দলটি।

মোংলা পোর্ট পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাক ও দলীয় মনোনয়ন বিতরণ কমিটির পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন মিলন এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, আমরা এবার জয় পেতে সাংগঠনিকভাবে তৎপর রয়েছি। দলীয় নেতৃবৃন্দ মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আবেদন যাচাই-বাছাই করে দলের একক প্রার্থীকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবেন।

বিডি প্রতিদিন/এমআই