চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচনে চার ওয়ার্ডে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করা হবে। চসিকের সাধারণ ওয়ার্ড ৩০, ৩৭, ৪০ এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৬ এর প্রার্থীর মৃত্যুতে পুনরায় তফসিলের পাশাপাশি যারা প্রার্থী আছেন তারা বহাল থাকবেন। তবে প্রার্থীরা নতুন করে মনোনয়ন জমা দিতে হবে না।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) স্থগিত হওয়া নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৭ জানুয়ারি। চসিকের সংরক্ষিতসহ চারটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের আকস্মিক মৃত্যু কারণে পুনরায় তফসিল হয়েছে। এখানেও একই সাথে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যে সংরক্ষিতসহ চারজন কাউন্সিলর প্রার্থী করোনাকালীন নানা অসুস্থতার কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন। তারা হলেন সংরক্ষিত ওয়ার্ড (১৭, ১৮ ও ১৯) কাউন্সিলর প্রার্থী সাহিদা বেগম পারভীন, ৩০ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হোসেন মুরাদ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।নির্বাচন কমিশনের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, চসিক নির্বাচনের বিষয়ে দিন-তারিখ ঠিক করা হয়েছে। এখন শুধু চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি বলেন, চসিকের কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থীর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর কারণে নতুন তফসিলের পাশাপাশি একই সময়ে ২৭ জানুয়ারি চসিকের নির্বাচন হবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন আইন-২০০৯ (সংশোধিত) আইনের বিধি ২০ এর উপবিধি-১ ধারায় বলা হয়েছে, ভোট গ্রহণের পূর্বে কোনো প্রার্থীর মৃত্যু হলে সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্টদের পদের নির্বাচন কার্যক্রম রিটার্নিং অফিসার গণ-বিজ্ঞপ্তি দ্বারা বাতিল করবেন।
একই সাথে বিধির উপবিধি-৩ এ বলা হয়েছে, রিটার্নিং অফিসার হতে অবহিত হওয়ার পর নির্বাচনী এলাকার সংশ্লিষ্ট পদে নতুন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবেন এবং কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তবে কোনো প্রার্থীর মনোনয়ন ইতোপূর্বে বৈধ বলে গণ্য হলে এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন নির্বাচন করছেন।
এছাড়া সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরের ৫৫ পদে ২৬৯ প্রার্থী মনোনয়ন পান। মেয়র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা), বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন (ধানের শীষ), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন (মিনার), এনপিপির আবুল মনজুর (আম), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার) ও স্বতন্ত্র খোকন চৌধুরী (হাতি)। ২০১৫ সালে ৬ আগস্ট মেয়রের দায়িত্ব নিয়েছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দীন। সে হিসাবে পর্ষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৫ আগস্ট।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর