২৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ১২:০৪

শাহজাদপুর পৌরসভা নির্বাচন: এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ বিএনপি প্রার্থীর

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

শাহজাদপুর পৌরসভা নির্বাচন: এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ বিএনপি প্রার্থীর

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌরসভা নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই ভোটারের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। এই প্রথম শাহজাদপুর পৌরসভায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইভিএমে ভোট প্রদান করে অনেকেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে বয়স্ক ও নারী ভোটারদের ইভিএমে ভোট দিতে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। 

কেন্দ্রগুলোতে নৌকা ও কাউন্সিলরদের এজেন্ট থাকলেও বিএনপি প্রার্থীর কোন এজেন্ট দেখা যায়নি। অভিযোগ উঠেছে- অনেক কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ নেয়ার পর বুথে যাবার পর ভোটারদেরকে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রদানে বাধ্য করা হয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে নৌকার ব্যাচ পরিহিতরা থাকলেও কোথাও ধানের শীষ সমর্থকদের দেখা যায়নি। এমনকি কোন পোস্টারে লাগানো হয়নি। সকাল থেকেই নৌকা প্রার্থী মনির আক্তার খান তরুলোদী প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যবেক্ষন করেছেন। তবে সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হলেও বেলা ১১টা পর্যন্ত বিএনপি প্রার্থী বাসা থেকে বের হয়নি। 

সাংবাদিকদের ডাকে বাসা থেকে বের হয়ে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল হাসান সজল জানান, সকাল থেকে ফোনে প্রতিটি কেন্দ্রে খোঁজ নেয়া হয়েছে। কিছু কেন্দ্রে এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়েছে আবার অনেকে কেন্দ্রে এজেন্টকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কাউন্সিলর প্রার্থীর ভোট হলেও মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে প্রকাশ্যে ভোট নেয়া হচ্ছে। 

তবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনির আক্তার তরুলোদী বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ প্রত্যাখান করে জানান, ভোট সুষ্ঠ-শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জনগন স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট প্রদান করছে।

আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান মেয়র হালিমুল হক মিরু জানান, বিএনপি প্রার্থীর বাবা-মা আওয়ামী লীগ করে। বিএনপি এমন পরিবারে প্রার্থী দিয়েছে যাতে প্রার্থী বের হবে না, কিন্তু মিথ্যাচার করা যাবে। এটা বিএনপির অপকৌশল। সে ঘরে বসে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করছে। 

অন্যদিকে, ভোট সুষ্ঠ ও সুন্দর করতে র‌্যাব-পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেন্দ্রে ও কেন্দ্রের বাইরে টহল দিচ্ছে। রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো.আবুল হোসেন জানান, এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়েছি এমন অভিযোগ আমাদের কাছে নেই। তবে আমরা যতটুকু জেনেছি বিএনপি অনেক কেন্দ্রে এজেন্টই দেয়নি। আর আমরা সকাল থেকে কেন্দ্রগুলো পর্যবেক্ষণ করেছি বিএনপির প্রার্থীকে কোন কেন্দ্রে দেখা যায়নি। লিখিত কোন অভিযোগও দেয়নি।  

তিনি বলেন, বিএনপি প্রচার-প্রচারণা বাধা দেয়ার অভিযোগ পাবার পরই পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছিল। তার মতে নির্বাচনের চারটি পার্ট রয়েছে, নির্বাচন অফিসিং, পুলিশীং পার্ট, ম্যাজিস্ট্রেটিসিং পার্ট ও জুডিশিয়াল পার্ট। সুষ্ঠ নির্বাচন বাস্তবায়ন করতে হলে চারটি পার্টের সকলকেই সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর