৩ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:১০

জমে উঠেছে মোংলা পোর্ট পৌরসভা নির্বাচন

বাগেরহাট প্রতিনিধি

জমে উঠেছে মোংলা পোর্ট পৌরসভা নির্বাচন

নির্বাচন উপলক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা।

প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচন। আগামী ১৬ জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ভোটারদের মন জয় করতে দিচ্ছেন নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।

রবিবার সকালে বর্তমান মেয়র ও বিএনপির প্রার্থী মো. জুলফিকার আলীকে পৌর শহরের তালুকদার আব্দুল খালেক সড়কে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ. রহমান প্রচারণা চালিয়েছেন পৌর শহরের ছাড়াবাড়ী এলাকায়।

এছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থীরাও নিজ নিজ এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে পৌর শহরজুড়ে শোভা পাচ্ছে প্রার্থীদের পোস্টার। পোস্টারে ছেয়ে গেছে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ছাড়াও সকল অলিগলি।

ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী মো. জুলফিকার আলী বলেন, আমি দীর্ঘ ১০ বছর মেয়রের দায়িত্বপালনকালে পৌরবাসীকে সেবা করে আসছি। ১৬ জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রথম দিকে একটু সমস্যা থাকলেও এখন বর্তমানে সুষ্ঠুভাবে প্রচার-প্রচারণা করছি। তবে দল মত নির্বিশেষে সাধারণ জনগণ যাতে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে এ ব্যাপারে নিরাপত্তাসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন ভাল থাকে সংশ্লিষ্টদের কাছে সেই প্রত্যাশা করছি।

নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী শেখ আ. রহমান বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর পর মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচন হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক দিয়ে আমাকে পৌরবাসীর কাছে পাঠিয়েছেন। জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। নৌকায় ভোট দেবে বলে তাদের কাছ থেকে সেই প্রতিশ্রুতিও পাচ্ছি। আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। আমি নির্বাচিত হলে জনগণ যে দুর্দশায় আছে, তা ঘোচাতে চেষ্টা করবো।

মোংলা পোর্ট পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে তিনজন, ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন ও সংরক্ষিত তিনটি মহিলা ওয়ার্ডে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৯টি ওয়ার্ডের ১২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ।

এবারই প্রথম ইভিএম পদ্ধতি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে পৌরসভার সাধারণ ভোটারের সংখ্যা ৩১ হাজার ৫২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ৬৮১। আর নারী ভোটার ১৪ হাজার ৮৪০ জন। এর আগে ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এ পৌরসভায় ভোটারের সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ৯৫১ জন।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সকল প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রচার-প্রচারণা চালানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ইতিমধ্যে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মীদের নগদ জরিমানা করা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করার লক্ষ্যে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। 

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর